শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

বাগমারার ভূমি অফিস গুলো দালাল চক্রের হাতে জিম্মি

undefinedনাজিম হাসান,বাগমারা (রাজশাহী) থেকে :: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভূমি অফিসগুলো দালাল ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এছাড়াও ভূমি অফিসে কাজ করতে আসা লোকজন দালাল চক্রেও হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। লোকজন ভূমি অফিসগুলোতে নাম জারি রেজিষ্ট্রি, খাজনা জমি খারিজ করতে গেলে দালালদের পাল্লায় পড়ে চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। উপজেলার ভবানীগঞ্জ ও তাহেরপুর ভূমি অফিসের অবস্থা একেবারে নাজুক। ভবানীগঞ্জ ভূমি অফিসের দালালদের দাপটে সাধারন কর্মচারীরা কন্ঠাশা হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশ করার শর্তে ভবানীগঞ্জ ভূমি অফিসের কয়েকজন কর্মচারী জানান, উপজেলার ভূমি অফিসদালালের অত্যাচারে তাদের কাজ করতে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে অথচ এসব দালালের প্রতিহত করার মত কেউ নাই।এলাকার কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও হাতে গোনা কয়েকজন কর্মচারীর কাছে পুরো ভূমি অফিস জিম্মি হয়ে পড়েছে বাগমারার ভূমি অফিস। খাস জমি ও পুকুর, অর্পিত জমি সহ ভূমি সংক্রান্ত কাজে ক্ষমতাশীল দলের কয়েকজন দালালকে খুশি করতে না পারলে কোন কাজ হয় না। জমি ক্রয়, জমি খারিজ, পুকুর লিজসহ যাবতীয় কাজ টাকা ছাড়া হয় না। ভূমি অফিসের চাহিদা মত টাকা দিতে পারলে তার জমি আগে খারিজ হয় আর টাকা দিতে না পারলে তার জমি বছরের পর বছর ঘুরেও খারিজ হয় না। আর এসব কাজ করে থাকে ভূমি অফিসের তহসিলদার,দালাল ও ইউনিয়নের কয়েক জন সহকারী কর্মকর্তারা। এরা ইচ্ছা মত লোকজনদের কাছ থেকে জমির শ্রেণী পরিবর্তন, খারিজ, খাজনা আদায় করে থাকেন। জমির দলিল খারিজ করতে গেলে প্রকার ভেদে তিন থেকে চার হাজার টাকা আদায় করা হয় বলে ভুক্তভুগিরা জানান। তাছাড়াও বাগমারা ভূমি অফিসে ধানী জমির খাজনা দিতে গেলে, ঐ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলেন তাদেরকাছে খাজনা জমা নেওয়ার রশিদ নাই। কিন্তু দালাল চক্রের হাত দিয়ে টাকা দিতে চাইলেই ধানী জমির খাজনা নেওয়া হয় এবং রশিদ ও থাকে ভূমি অফিসগুলোতে। তাহেরপুর ও ভবানীগঞ্জ ভূমি অফিসে ৮ থেকে ১০ জন দালাল রয়েছে।  এদের মধ্যে মধ্যে প্রায় দালাল নিরহ লোকজনদের ঠকিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। তাদের রয়েছে বিশাল বহুল মটর সাইকেল।বাগমারায় সহকারি কমিশনার  থাকলেও এসব দালালরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে ভুক্তভুগিরা অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন ভূমি অফিসের দুর্নীতিরব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছি। সেই সাথে এখন আগের চেয়ে দালালদেও সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এছাড়াও অতিরিক্ত টাকা দিয়ে যেন কেউ কাজ না করে এবং দালালদের ধরে কাজ না করার জন্য পরামর্শ দেন। 
Ruby