মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

নাটোরে উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু হত্যা মামলার সব আসামী-ই মুক্ত

আকতার হোসেন অপূর্ব, নাটোর প্রতিনিধি :: দেশব্যাপী আলোচিত নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ নূর বাবু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী বনপাড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র কে এম জাকির হোসেন ও মাঝগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান খোকন মোল্লাসহ ২৭ আসামীর সকলেই এখন জামিনে মুক্ত। সর্বশেষ দুই নম্বর আসামী কে এম জামিল হোসেনসহ চারজনকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট লিয়াকত হোসেন মোল্লা গতকাল সোমবার জামিনে মুক্তি দিয়েছেন। গতকাল জামিন পাওয়া অন্য তিনজন হলেন হাশেম, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু এবং সেলিম হোসেন। মামলার ২৭ আসামী গত ২০ নভেম্বর নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক মাহামুদুল হাসান তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামীদের জেলে যাওয়ার ঠিক এক মাস পরে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক হোসেন শহীদ আহমেদ তাদের মধ্যে ২৩ জনকে জামিন প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত ২০১০ সালের ৮ আক্টোবর সকাল ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচী পালনের সময় বনপাড়া বাজারে রাস্তার ওপর প্রকাশ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছ্ত্রালীগের চিহ্নিত নেতাকর্মীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে নির্মমভাবে বাবুকে হত্যা করে। হত্যা নিশ্চিত করতে তারা বাবুর হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। হত্যাকান্ডের চিত্র ধারণের সময় হামলাকারীরা শেখ তোফাজ্জ্বল হোসেনসহ চারজন সাংবাদিককে পিটিয়ে গুরুত্বরভাবে আহত করে। এই হত্যাকান্ডের ভিডিও চিত্র সকল বেসরকারী টেলিভিশনে প্রচারিত এবং সচিত্র খবর জাতীয় দৈনিক সমূহে প্রকাশিত হলে দেশ-বিদেশে হৈ চৈ পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও চিত্র দেখে আসামীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। হত্যার পর সানাউল্লা নূর বাবুর স্ত্রী মহুয়া নূর কচি বাদী হয়ে কে এম জাকির হোসেনকে প্রধান করে মোট ২৭ জনকে আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন।
Ruby