সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

চট্টগ্রামে ডাঃ শামসুল আলমের বাসায় দুরধর্ষ ডাকাতি ৬ ডাকাতে জবানবন্দীতে নগদ ৫ লক্ষ ২২ হাজার টাকা ও ল্যাপটপ উদ্ধার


জীবন কৃষ্ণদেবনাথ চট্টগ্রাম ব্যুরো :: কোতোয়ালী থানাধীন দেব পাহাড়স্থ ৭/ডি, কলেজ রোড, বাবা ভিলার ৪র্থ তলার বাসায় জনৈক ডাঃ এস এম শামসুল আলম এর বাসা হতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, হাত ঘড়ি ও ল্যাপটপ সর্বমোট ২৩,০০,০০০/- টাকার মালামাল চুরি করিয়া নিয়া যায়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কোতোয়ালী থানার মামলা নং-২৬, তারিখ-১৭/০২/১২ইং, ধারা-৪৫৭/৩৮০ দঃবিঃ রুজু করা হয়। বর্ণিত মামলার লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার এবং আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জনাব আমেনা বেগমের সার্বিক তত্ত্ববধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) জনাব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ, জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও জনাব ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ আলমগীর হোসেন’গনের নেতৃত্বে এসআই/ মোঃ ইকবাল হোসেন, পিপিএম, এসআই/ প্রিটন সরকার, এসআই/ মোঃ ইলিয়াছ খানদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। উক্ত টিম ব্যাপক গোয়েন্দা তৎপরতার চালিয়ে অপরাধী চক্র সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন। উল্লেখিত অফিসারগন সঙ্গীয় ফোর্সসহ চট্টগ্রাম মহানগর বিভিন্ন এলাকায় টানা ০২ দিন ব্যাপী অভিযানকালীন গত ১৯/০২/১২ইং তারিখ রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় জিইসি মোড়স্থ ওয়েল ফুডের সামনে হতে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আসামী আবদুল্লাহ আল মুতী @ তানিম (১৬)কে গ্রেফতার পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তার দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় সানমার শপিং সেন্টারের সম্মুখ হতে আসামী মোঃ তানভির হাসান @ রাশেদ (১৬) ও আসামী আরাফাত বিন সরোয়ার @ ফাহিমদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, আসামী তানিম সহ তাদের একই ক্লাশের বন্ধু আবরার হোসেন @ সায়েম (১৫), শাহতাব এমদাদ চৌধুরী @ শিপু (১৭)সহ তাহাদের অপর পরিচিত বন্ধু দিপু বড়–য়া (২০)গন গত ১৬/০২/১২ ইং তারিখ সন্ধ্যায় দেব পাহাড়ের ময়লা হাউজের পার্শ্বে বসে চুরির বিষয়টি পরিকল্পনা করে। সেই প্রেক্ষিতে তাদের বন্ধু ফাহিমকে বাদীর মেয়ের আকদ্ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য পাঠায়। বাদীর বাসার সকল লোকজন রাত অনুমান ০৯.১৫ ঘটিকার সময় আকদ্ অনুষ্ঠানে চলে গেলে তানিম, শাহতাব একটি মাষ্টার চাবি দ্বারা ঘটনাস্থল বাসায় প্রবেশ করে এবং দিপু ও আবরার বাসার নীচে পাহারা দেয়। অনুমান ২০/২৫ মিনিটের মধ্যে আসামীরা বাসার উল্লেখিত স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগে নিয়ে সিএনজি যোগে বহদ্দারহাট চলে যায়। অতঃপর তানিম চুরি করা টাকার মধ্যে ১,০০,০০০/- টাকা নিজের কাছে, ৪,০০,০০০/- টাকা আসামী দিপুর নিকট, ৮০,০০০/- টাকা শাহতাবের নিকট, ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ল্যাপটপ আবরার এর নিকট, বাকী স্বর্ণালংকার, গোল্ড প্লেইটের চুড়ি রাশেদের নিকট এবং ভিসা কার্ড সহ কিছু টাকা ফাহিমের নিকট রাখে। ফাহিম, শাহতাব ও রাশেদ ভিসা কার্ড দ্বারা স্যানমার শপিং সেন্টার হতে কাপড় চোপড় এবং ০৩টি মোবাইল সেট ক্রয় করে ৯৮,০০০/- টাকা খরচ করে ফেলে। আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ইং ২০/০২/১২ তারিখ রাত ০০.৩০ ঘটিকার সময় আসামী আবরার হোসেনের দেওয়ান বাজারস্থ বাসা হতে ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার সহ নগদ ৩০,০০০/- টাকা ও লুন্ঠিত ল্যাপটপ, ০৫টি বিদেশী হাত ঘড়ি, আসামী তানিমের জয়নগরস্থ ২নং গলির জেসমিন ভিলার নীচ তলার ভাড়া বাসা হতে নগদ ৫০,০০০/- টাকা, আসামী দিপু বড়–য়ার বাদুরতলার শাহ আমানত সোসাইটি’র কাশেম ভিলার ভাড়া বাসা হতে ৪,০০,০০০/- টাকা, আসামী শাহতাব এমদাদ চৌধুরীর শুলকবহরস্থ হোসেন ম্যানসনের ভাড়া বাসা হতে ৪২,০০০/- টাকা, আসামী আরাফত বিন সরোয়ারের শুলকবহরস্থ হাজী ইদ্রিস বিল্ডিং এর ভাড়া বাসা হতে ভিসা কার্ড এবং সর্ব শেষ বেলা অনুমান ১৩.৩০ ঘটিকার সময় আসামী রাশেদের শুলকবহরস্থ হোসেন ম্যানসনের ভাড়া বাসা হতে চুরির টাকায় ক্রয়কৃত মোবাইল ফোন সেট ও গোল্ড প্লেইটের অলংকার উদ্ধার করা হয়। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা সকলেই স্কুল পড়ুয়া ছাত্র। তাদের বন্ধু তানিম ও দিপুদ্বয় ইতিপূর্বে তাদের অপর বন্ধুদের সহযোগিতায় বিভিন্ন খালি বাসা বাড়ীতে চুরি করেছে এবং তাদের নিকট কোন বাসা/ফ্ল্যাট খালি থাকলে জানাতে বলে। কারণ তাদের নিকট একটি মাষ্টার চাবি রয়েছে। উক্ত চাবি দ্বারা যে কোন ফ্ল্যাট বা বাসার দরজার তালা খুলতে সক্ষম। ঘটনার বিষয়ে তারা চমক পদ তথ্য প্রদান করছে।

চট্টগ্রামের চান্দগাঁয়ের স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন ঘাতক গ্রেপ্তার


চট্টগ্রাম ব্যুরো ঃ গত ১৮-০২-২০১খ্রিঃ তারিখ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম এর ওয়ার্ড মাষ্টার থানায় লিখিত ভাবে জানান যে, জনৈকা সুলতানা (২২),স্বামী-মৃত ফুল মিয়া সওদাগর, সাং-উত্তর মোহরা, হায়দার আলীর নতুন বাড়ী, থানা-চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম’কে গত ১৮-০২-১২খ্রিঃ তারিখ রাত ১০:৫০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ওয়ার্ড নং-০১, জরুরী বিভাগ, রেজিঃ নং-২০৮২২/৩৭০, মৃত অবস্থায় আনা হয় এবং তাহার মৃত্যুর কারণ ইজঙটএঐঞ ওঘ উঊঅউ ঐ/ঙ ঐঅঘএওঘএ. এই সংক্রান্তে চান্দগাঁও থানার অপমৃত্যু মামলা নং-০৬/১২,তারিখ ১৯-০২-২০১২খ্রিঃ রুজু করা হয়। আলোচ্য অপমৃত্যু মামলাটি তদন্ত চলাকালে মৃতার বড় ভাই জনৈক মোঃ আব্দুর রহিম (২৪), পিতা-আব্দুল মাবুদ, সাং-বকসীনগর, অক্সিজেনের পূর্ব পার্শ্বে তরিয়াত খাঁর বাড়ী, থানা-বায়েজীদ বোস্তামী, জেলা-চট্টগ্রাম থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন যে, উক্ত মৃতা সুলতানাকে তাহার স্বামী মোঃ মহিউদ্দিন (৩০), পিতা-মৃত ফুল মিয়া সওদাগর, পূর্বের স্থায়ী সাং-একফুল্লা পুকুর পাড়, রাজা মিয়ার বাড়ী, নজু মিয়া হাট, থানা-হাটহাজারী, চট্টগ্রাম বর্তমান স্থায়ী-সাং-উত্তর মোহরা, হায়দার আলীর নতুন বাড়ী, থানা-চান্দগাঁও, জেলা-চট্টগ্রাম গত ১৮-০২-১২খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ২১:০০ ঘটিকার সময় নিজ ঘরের শয়ন কক্ষে আক্রমন করতঃ মারপিট করে এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তার উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে চান্দগাঁও থানার মামলা নং-২০, তারিখ ১৯-০২-১২খ্রিঃ, ধারা-৩০২ দঃ বিঃ রুজু করা হয়। মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র আসামী মহিউদ্দিন (মৃতার স্বামী)’কে গ্রেফতার  করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটির জোর তদন্ত অব্যহত আছে। 
Ruby