শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

দেখার কেউ নেই! নওগাঁয় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু শ্রমিক নিয়োজিত

মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি :: নওগাঁয় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু শ্রমিক নিয়োজিত থাকলেও দেখার কেউ নেই! ওইসব শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও নেই কোন সাড়া। নওগাঁ জেলা সদরসহ ১১ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কলকারখানা, হোটেল-রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান, ইটপাথর ভাঙা ইটাখোলায়, ওয়েলডিং কারখানা ছাড়াও রিকশাভ্যান চালানোর মতো কঠিন শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ১০ হাজার শিশু। এসব শিশুর বয়স ১০ থেকে ১২ বছর। এ বয়সে এসব শিশুর হাতে থাকার কথা ছিল বই, খাতা, কলম। কিন্তু নিয়তি এবং আইন না মানার প্রবণতার কারণে স্কুলে যাওয়া-আসা এবং খেলাধুলা থেকে দূরে পড়ে আছে এসব শিশুরা। তবে শিশুদেরকে কঠিন শ্রমে নিয়োজিত করার পেছনের কারণ সংসারের অসচ্ছলতা কারো কারো অভিভাবক না থাকা এবং অসচেতনতা। হোটেলে বয়ের কাজ করা নওগাঁর পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডবাসী শিশু ইয়াকুব হোসেন জানায়, সংসারের অসচ্ছলতার কারণে স্কুল বাদ দিয়ে মুরগির ফার্মে কাজ নিয়েছি। ইয়াকুব হোসেন আরো জানায়, সে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করে। বিনিময়ে পায় তিন বেলা খাবার এবং মাসে ৬শ টাকা বেতনÑ যা বর্তমানে অতি নগণ্য। সে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছিল। অর্থের অভাবে ইয়াকুবের মতো হাজারো শিশুরা সুশিক্ষা থেকে একদিকে যেমন চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছে অপরদিকে পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে অনেক স্কুলগামী শিশু ছাত্র শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে গ্রাম পর্যায়ে পিতা-মাতার অসচেতনতার জন্য কিছু শিশু শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ছে বলে অভিজ্ঞ মহল মত পোষণ করেন। এ বিষয়ে জেলা শিশু কর্মকর্তা জানান, অভাবের তাড়নায় এসব শিশুরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যোগ দিচ্ছে।
Ruby