শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

চারঘাটে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে ॥

মিজানুর রহমান বিপ্লব চারঘাট(রাজশাহী) প্রতিনিধি :: রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায় মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত কিছু ভারতীয় হরমোন জাতীয় ওষুধ ব্যবহারের ফলে মৎস্য সম্পদ ক্রমশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অপর দিকে এইসব ব্যবহারের ফলে উৎপাদিত মাছ খেয়ে মানুষ পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। চারঘাটে উপজলায় ২৫ টি খাস পুকুর সহ ব্যক্তি মালিকানায় অনেক বড় বড় পুকুর রয়েছে। এগুলো  অনেক পুকুর মালিক নিজেই চাষ করেন আবার অনেক পুকুর  কেউ কেউ বর্গা নিয়ে মৎস্য চাষ করেন। এই উপজেলায় সর্বত্র কয়েক বছর ধরে মানুষ মৎস্য চাষে উৎসাহী হয়ে উঠে। শুরু হয় মৎস্য বিপ¬ব। কিন্তু বদ্ধ পুকুরেজ্ঞ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যে পরিমান সার প্রয়োজন মৎস্য চাষীরা তা জানেন না। ফলে উৎপাদন বাড়াতে তারা কয়েক গুন বেশা সার ব্যবহার করে থাকেন। তারা জৈবসারের পরির্বতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করছে দেদাছে। ফলে মৎস্য সম্পদ আজ ধ্বংসের দিকে। সেখানে পুকুরে পোনা ছাড়ার আগে পুকুর তৈরী করার সময় বিঘা প্রতি ৮০০ গ্রাম রটন পাউডার দিয়ে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ বা গ্রানী ধ্বংস করার কথা। সেখানে স্থানীয় মৎস্য বিভাগের কথা মাঠ পর্যায়ের চাষী তথা পুকুর মালিকরা এ পাউডার ব্যবহার না কওে নিষিদ্ধ ভারতীয় তরল কীটনাষক ব্যবহার করছে। ফলে মাছ চাষে সাফল্য পাচ্ছে না চাষীরা। যেখানে মাছের খাদ্য দৈহিক বৃদ্ধির জন্য পুকুওে ১০/১৫ দিন পর পর আড়াই থেকে তিন কেজি গোবর অথবা তিন কেজি ইউরিয়া বা আড়াই কেজি টিএসপি সার  প্রয়োগ  করার কথা সেখানে মৎস্য চাষী বা পুকুর মালিকদের অজ্ঞতা বা ক্ষেত্র বিশেষে অধিক লাভের আশায় পচা গোবর সার সংগ্রহের ঝামেলায় না গিয়ে সহজ লভ্য রাসায়নিক সার অতিমাত্রায় প্রয়োগ করছে। ফলে একদিকে অতিমাত্রায় সার ক্রয় করতে গিয়ে আর্র্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় মৎস্য অফিসে কয়েকদিন যোগাযোগ করে কাউকে পাওয়া যায়নী। চারঘাটের ঝিকরা গ্রামের মৎস চাষী  মদন মিয়াপুর গ্রামের মান্নান ও চারঘাট গ্রামের নজরুল ইসলাম বাচ্চু সহ কয়েকজন মৎস্য চাষী এই প্রতিবেদককে জানান, স্থাণীয় মৎস্য বিভাগের কর্মর্কতারা কর্মচারীদের তারা চিনেন না। উলে¬খ্য.চারা পুকুরে ক্ষেত্রে ১ লাখ পোনার জন্য ৬১৫ কেজি জৈবসার ও পরিমানমতো অজৈব সার ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও এখানকার চাষি তথা পুকুর মালিকরা ব্যবহার করছে শুধু অজৈবসার। এ ছাড়া ৫০ ভাগ চালের গুড়া ও ৫০ ভাগ খৈল ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। পুকুরে মাছের খাবার তৈরীর জন্য সঙ্গে ২ দফা ২৩ মন গোবর এবং ৩ কেজি ইউরিয়া সার, পরিমান মত টিএসপি দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তার স্থলে ব্যবহার করা হচ্ছে শুধুই অজৈবসার । মোট কথা স্থানীয় মৎস বিভাগের গাফিলতি ও উদাসীনতা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শের অভাবে স্থানীয় মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
Ruby