মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ফলোআফঃ- বাঘায় রহস্যজনক ব্যবসায়ীর মৃত্যু : রক্তমাখা পাঞ্জাবী শার্ট বোরখা দড়ি উদ্ধার

আমানুল হক আমান, নিজস্ব প্রতিবেদক :: রাজশাহীর বাঘায় বীজ ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু। রক্তমাখা পাঞ্জাবী, শার্ট, বোরখা ও দড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাস্তায় পড়ে থাকা ব্যবসায়ী আবুল হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে পুলিশ বলছেন তার ব্যবসায়ী পাটনার তাকে হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে রাখতে পারে। ওই সূত্র ধরে গতকাল সোমবার মর্শিদপুর গ্রামের কালামের বাড়ির পাশে এক পূকুরের ধার থেকে রক্তমাখা পাঞ্জাবী, শার্ট, বোরখা ও দড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। আবুল হোসেনের ছেলে হাসান আলী জানান, মর্শিদপুর গ্রামের কালামের সাথে আমার পিতা আবুল হোসেনের ২০/২৫ বছর যাবত পাটনারে ব্যবসা করে। টাকা লেন দেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। 
উল্লেখ্য শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার মর্শিদপুর এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বানিয়াপাড়া গ্রামের ফকির প্রামানিকের ছেলে বীজ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন (৫৫)। পথিমধ্যে ওই এলাকার জনৈক মানিক খানের বাড়ির সামনে অজ্ঞান ও রক্তাত্য অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে প্রত্যক্ষদর্শী ওবাইদুল, শাজাহান ও হাফিজ। ওই অবস্থায় তারা রাস্তার চলমান একটি ভুটভুটি যোগে দ্রুত তাকে বাঘা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। কিন্তু কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দেখে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর প্রাথমিক অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে প্রচার করলেও পরবর্তী সময় তার ছেলে হাসান আলী লাশ দেখে বলেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে। হাসান আলী জানান, তার পিতার নিকট শীত নিবারনের জন্য একটি চাদর ও একটি মাপলার ছিল। কিন্তু লাশের সাথে পাওয়া গেছে দুটি মাপলার। এ ছাড়াও রাস্তার পাশ দিয়ে অনেকদুর পর্যন্ত রক্তের ফোটা ও মাথায় আঘাতের দৃশ্য দেখে তার ধারনা তাকে হত্যা করেছে। তবে এ ঘটনায় আবুল হোসেনের ছেলে হাসান আলী বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহম্মেদ হাশমী বলেন, আবুল হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে এমন খবর ছিল মানুষের মুখে-মুখে। কিন্ত তার ছেলে অভিযোগ করায় বিষয়টি আমলে নিয়ে মৃত্যুর রহস্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। 
Ruby