রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

গোপালগঞ্জে খাল খনন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও সড়ক নির্মানের দাবীতে মানব-বন্ধন

বাদল সাহা, বিশেষ প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ :: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার অবহেলিত একটি ইউনিয়নে খাল খনন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও সড়ক নির্মানের দাবীতে মানব-বন্ধন করেছে সেখানকার বাসিন্দারা। উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের আড়–য়াকান্দি-ওড়াকান্দি খাল খনন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও সড়ক নির্মানের দাবীতে পরিষদ সংলগ্ন খালপাড়ে ওই ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে সাধারন সদস্য, মহিলা সদস্য, গ্রাম-পুলিশ ও চেয়ারম্যান জহির রায়হান পলাশের অংশ গ্রহনে শনিবার বেলা ১১ থেকে ১২ টা পর্যন্ত ঘন্টাকালব্যাপী এ মানব-বন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

মানব-বন্ধনকারীরা দাবী করে জানায়, ওই ইউনিয়নের বাসিন্দারা কেবলমাত্র চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল। বছরে একবার মাত্র ইরিধানের চাষ করার সুযোগ পায় তারা। চাষাবাদের জন্য ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার একর জমির জন্য ২ শতাধিক সেচব¬ক ইউনিয়নের একমাত্র আড়–য়াকান্দি-ওড়াকান্দি খালের উপর নির্ভরশীল। মধূমতি নদী থেকে বারাসাতের খাল হয়ে পানি প্রবেশ করে ওই খালে। কিন্তু খালটি দীর্ঘ বছর খননের অভাবে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির অভাবে তাদের ওই সকল জমির চাষাবাদ ব্যাহত হবার আশংকা করছে তারা।  এছাড়া ইউনিয়নের ১১ টি গ্রামের ১৮ হাজার লোকের বসবাসকারী ইউনিয়নটিতে ৭০ ভাগ পরিবার এখনো বিদ্যুৎ সুবিদা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এবং ইউনিয়নে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে একটি মাত্র পাকা সড়ক ব্যাতিত আভ্যান্তরীন আর কোন সড়ক নেই। তারা চলতি অর্থ বছরের মধ্যেই ইউনিয়নের খাল খনন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও সড়ক নির্মানের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন।

মানব-বন্ধন চলাকালে ওড়াকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও রামদিয়া কলেজের সাবেক ভিপি জহির রায়হান পলাশ সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে বলেছেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়ন পৃথিবীর মানচিত্রে একটি পরিচিত নাম। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এখানকার হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুর বাড়িতে প্রতিবছর চৈত্রমাসে তিনদিন ব্যাপী হিন্দু ধর্মের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। লাখ লাখ লোকের সমাগম ঘটে ঠাকুর বাড়িতে। ইউনিয়নের আভ্যান্তরীন কোন সড়ক না থাকায় যাতায়াত বিড়ম্বনায় পড়ে আগত পূন্যার্থীরা। চাষাবাদের জন্য ইউনিয়নের ২ শতাধিক সেচব¬ক ইউনিয়নের একমাত্র আড়–য়াকান্দি-ওড়াকান্দি খালের উপর নির্ভরশীল। মধূমতি নদী থেকে বারাসাতের খাল হয়ে পানি প্রবেশ করে ওই খালে। কিন্তু খালটি দীর্ঘবছর খননের অভাবে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির অভাবে এসব জমির চাষাবাদ ব্যাহত হবার আশংকা রয়েছে। এছাড়া ইউনিয়নটির এক-তৃতীয়াংশ পরিবার এখনো বিদ্যুৎ সুবিদা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তিনি ইউনিয়নের কৃষকদের বাঁচাতে খাল খনন ও অবহেলিত ওড়াকান্দির উন্নয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ ও সড়ক নির্মানের দাবী জানিয়েছেন। তিনি হুমকী দিয়ে বলেছেন, এক বছরের মধ্যে তার ইউনিয়নের কৃষকদের বাঁচাতে এসব উন্নয়ন-মূলক কাজ না করলে ইউনিয়ন বাসীকে নিয়ে আন্দোলনে যাবেন।


Ruby