মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১২

ঠাকুরগাঁওয়ে কুল চাষ বাড়ছে

আল মাহামুদুল হাসান বাপ্পী, ঠাকুরগাঁও :: ঠাকুরগাঁওয়ে কুল চাষ করে সচ্ছলতার মুখ দেখেছেন বেকার যুবক সোহেল রানাসহ আরও অনেকেই। এখানকার উৎপাদিত কুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে। উৎপাদিত কুলের গুনগত মান ভাল হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে দেশজুড়ে। এতে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় চাষী ও ব্যবসায়ীরা। লাভজনক হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে কুল চাষে। আপেল কুল, বাউকুল, থাই কুল, নারকেল ও দেশীয় জাতের দুই শতাধিক কুলের বাগান গড়ে উঠেছে এ জেলায়। প্রতিদিনই এসব বাগান থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে ১২ হাজার মন কুল। বিঘা প্রতি খরচ বাদে চাষীরা লাভ করছেন ৯০ থেকে ১০০ হাজার টাকা। ঠাকুরগাঁও জেলার ১’শ হেক্টর জমিতে চাষ হওয়া কুল বাগানে প্রায় ৬ শতাধিক শ্রমিকের কর্ম সংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান কুল চাষীরা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কুজিশহর গ্রামের বেকার যুবক সোহেল রানা এক একর জমিতে ৪ জাতের কুল চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। ৭ বছর আগে তিনি কুজিশহর এলাকায় ৩ লাখ টাকা খরচ করে বাগান গড়ে তোলেন। শুরুতে ২ জাতের হলেও এখন ৫ জাতের কুল চাষ করছেন তিনি। সব খরচ বাদ দিয়ে এ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকা লাভের মুখ দেখেছেন তিনি। কুল চাষী সোহেল রানা জানান, কুল চাষ করেও বেকারত্ব ঘোচানো যায়। তবে উৎপাদিত কুলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা গেলে কুল চাষে আরও এগিয়ে আসত চাষীরা। তিনি আরও জানান, প্রতিযোগীতার এই যুগে কৃষিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারের আরও নজর দেওয়া দরকার। তাহলে কৃষি হয়ে উঠবে এদেশের বেকারদের কর্মসংস্থানের প্রধান মাধ্যম। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলায়েত হোসেন বলেন, অল্প শ্রম আর কম বিনিয়গে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে।
Ruby