শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১২

ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকের ভরসা ডিজেল চালিত সেচযন্ত্র

আল মাহামুদুল হাসান বাপ্পী, ঠাকুরগাঁও :: বিদ্যুৎ সংকটের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার বোরো চাষীদের এখন ডিজেল চালিত সেচযন্ত্রই ভরসা। জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে বিদ্যুৎ চালিত ১ হাজার ২৩০টি গভীর নলকূপ ও ৩ হাজার ৪৮২টি অগভীর নলকূপ চালু রয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সংকটের জন্য বিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্পগুলো ঠিকমতো চলছে না। খরচ বেশি হলেও কৃষকের এখন অধিকতর নিরাপদ ডিজেল চালিত সেচযন্ত্র।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলায়েত হোসেন জানান, সারা জেলায় ৪৩ হাজার ২৫৫টি ডিজেল চালিত সেচপাম্প চলছে। বোরোর জমিতে সেচ দেয়ার জন্য এখন কৃষকের ভরসা এই সেচপাম্প। বিদ্যুৎ সংকটের জন্য মৌসুমের শুরু থেকে গভীর নলকূপের সাহায্যে বোরো ক্ষেতে ঠিকমতো সেচ দেয়া যাচ্ছিল না। তাছাড়া লো-ভোল্টেজের কারণে গত ১৫ দিনে ঠাকুরগাঁও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১২০টি গভীর নলকূপের মোটর পুড়ে গেছে।

ঠাকুরগাঁও বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ-২-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান ১২০টি গভীর নলকূপের মোটর পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহে উন্নতি হয়েছে। এখন তেমন সমস্যা হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, বেশিরভাগ বোরোর জমি ডিজেল চালিত সেচপাম্পের আওতাধীন। তিনি জানান, মাত্র ২০ হাজার হেক্টর জমি বিদ্যুৎ চালিত গভীর ও অগভীর নলকূপের আওতায়। বাকি প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে ৪৩ হাজার ২৫৫টি ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের সাহায্যে সেচ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে খাল-বিল ও নদী-নালা থেকে কৃষক সেচ দেয়।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র অনুযায়ী জেলায় এবার ৬৭ হাজার ৫৫৪ হেক্টরে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭১৬ টন (চালের আকারে)। ১৯ মার্চ পর্যন্ত ৯৯ শতাংশ জমিতে অর্থাৎ ৬৬ হাজার ৭৫৪ হেক্টর জমিতে বোরোর চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।

 
Ruby