বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১২

সোনাতলায় হাটে-বাজারে গরুর দুধের আমদানী থাকলেও ক্রেতা নেই : খামারীদের মাথায় হাত

জ্যোতি, গাবতলী ও সোনাতলা (বগুড়া) থেকে :: বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হাটে-বাজারে গরুর দুধের প্রচুর আমদানী থাকলেও ক্রেতা নেই। ফলে দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে পানির দামে। এতে করে খামারীদের মাথায় হাত পড়েছে। বগুড়া সোনাতলা উপজেলার যমুনা ও বাঙালী নদী পারের হাট-বাজার গুলোতে গরুর দুধের প্রচুর আমদানী থাকলেও ক্রেতা না থাকার কারণে দুগ্ধ ব্যবসায়ী ও খামারীদের পানির দামে দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে। উপজেলার পাকুল্ল্যা ইউনিয়নের হুয়াকুয়া বাজার, পদ্মপাড়া বাজার, শ্যামপুর বাজার, তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের কাচারী বাজার, মহেশ পাড়া, ভিকনের পাড়া, খাবুলিয়া, সরলিয়া, আউচার পাড়া, মহব্বতের পাড়া, মধুপুর, হরিখালী, চরপাড়া, ভেলুরপাড়া, করমজা, পোড়াপাইকর এলাকায় গরুর দুধের প্রচুর আমদানী থাকলেও ক্রেতা না থাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় গরুর দুধ পানির দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১০ থেকে ১২ টাকা কেজিতে গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় এলাকা ভেদে ১৫ থেকে ১৮ টাকা কেজিতেও দুধ বিক্রি হতে দেখা গেছে। এসব এলাকায় দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা গরুর দুধ নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করেও দুধ বিক্রি না হওয়ায় তারা দুধ বাড়িতে ফিরে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এব্যাপারে এলাকাবাসী তবিবর রহমান মাস্টার, জি এম আলী হাসান, ইকবাল কবীর, জ্যোৎøা বেগম, জরিনা খাতুন, নাজমা বেগম, শিউলি বেগম জানান, যমুনা ও বাঙ্গালী নদী পাড়ের অভাবী ও দিন মজুর শ্রেণীর মানুষেরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য গৃহপালিত পশুর উপর নির্ভরশীল। বর্তমান বাজারে দুধের ক্রেতা না থাকায় ১০ থেকে ১২ টাকা কেজিতে দুধ বিক্রি করতে তারা বাধ্য হচ্ছে। এব্যাপারে কয়েক জন কৃষক ও দুগ্ধ খামারী জানায়, বর্তমানে খৈল ও ভূষি সহ গো খাদ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া হলেও দুধের দাম না থাকায় গৃহপালিত পশুপালনে ও খামার পরিচালনায় তারা হিমশিম খাচ্ছে বলে জানায়।







Ruby