রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১২

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে

undefinedস্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আর পঁচাত্তরের ঘাতকরা মিলিতভাবে মহাজোট সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকালে বাংলাদেশ প্রকৌশল
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল ভবনের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর এস এম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য প্রফেসর এম হাবিবুর রহমান ও ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রোনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ডীন সত্য প্রসাদ মজুমদার বক্তৃতা করেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার প্রকৌশল শিক্ষার যুগোপযোগী ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তির বিকাশ ও অগ্রগতি সাধনে বদ্ধপরিকর। এ সময় তিনি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) তৈরির জন্য বুয়েট কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী ঢাকার যানজট দূরীকরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের কল্যাণে দেশের সীমিত সম্পদ বিজ্ঞানসম্মতভাবে উন্নয়ন কাজে ব্যবহারে এগিয়ে আসার জন্য প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানীসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে মানব সম্পদে পরিণত করতে তথ্য প্রযুক্তি খাতে আরো দক্ষ জনশক্তি তৈরিরও আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি দক্ষ জনসম্পদের চেয়ে কোন সম্পদই বড় নয়।
বর্তমান শতাব্দীতে জ্ঞানই হবে মূলধন এবং বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নয়ন সারা বিশ্বের উন্নয়ন ক্ষেত্রে এক নবদিগন্তের সূচনা করেছে একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তথ্য প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নয়ন বাংলাদেশকে উচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও প্রয়োগ মানব সভ্যতাকে উন্নত থেকে উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই একথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ লক্ষ্যে তাঁর সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
দেশের মেধাবী তরুণদের যোগ্য মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে বুয়েট অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ছাড়া যোগাযোগের ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন কর্মকা-ের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বুয়েটের কাজী কনফারেন্স সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।
Ruby