সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১২

মহাদেবপুরে নববর্ষকে ঘিরে মাটির সৌখিন সামগ্রীর চাহিদা আকাশচুম্বী

মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি :: বাংলা নববর্ষকে ঘিরে নওগাঁর মহাদেবপুরে মাটির সৌখিন সামগ্রী তৈরীর কারিগর-কুমারদের ব্যস্ততা বেড়েছে। নববর্ষ উপলক্ষ্যে গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বসা বৈশাখী মেলায় মাটির তৈরী সৌখিন সামগ্রী বিক্রি করে বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখছে তারা। এ স্বপ্ন বুকে নিয়ে কুমার পাড়াগুলোতে দিনরাত চলছে এখন সৌখিন সামগ্রী তৈরীর ধুম। কারিগররা এখন নাওয়া-খাওয়ারও সময় পাচ্ছেন না। এখানকার কুমারদের তৈরী সৌখিন সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মাটির পুতুল, পশু-পাখি, মাছ, ব্যাংক, ফুলের টব ও ফুলদানীসহ বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী। নববর্ষকে ঘিরে এসব সামগ্রীর চাহিদা এখন আকাশচুম্বী। এ কারণে কুমারপাড়াগুলো কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে। উপজেলার সুলতানপুর, খঞ্জনপুর, শিবগঞ্জ, দাউল প্রভৃতি কুমারপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, মাটির সৌখিন সামগ্রী তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কুমার সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা। সুলতানপুর কুমারপাড়ার বাসিন্দা শ্রী ধীরেন্দনাথ পাল জানান, তার দাদা গোপিনাথ পাল ও পিতা নয়ন পাল কুমার পেশার সাথে জড়িত ছিলেন। দাদা ও পিতার সূত্র ধরে তিনিও এ পেশাকে আকড়ে ধরেছেন। শ্রী ধীরেন্দ্রনাথ বলেন, সিলভার ও প্লাষ্টিক সামগ্রীর ব্যাপক ব্যবহারে মাটির তৈরী হাড়িপাতিলের চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় এ পেশার মানুষরা অনেকটা বেকায়দায় পড়েছিল। তবে মাটির তৈরী সৌখিন সামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার দিন ফিরতে শুরু করেছে তাদের। এসব সামগ্রী স্থানীয়ভাবে বিক্রির পরও ঢাকা ও চট্রগ্রামের ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে পাইকারী কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ পেশার সাথে জড়িত পরিবারগুলোর ছেলে-মেয়ে উভয়েই কঠোর পরিশ্রম করে মাটির এসব সামগ্রী তৈরী করছে। সুলতানপুর পালপাড়ার বাসিন্দা শ্রীমতি অর্চণা রাণী জানান, প্রতিবছরই বাংলা নববর্ষ এলে মাটির সৌখিন সামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। #

 
Ruby