সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১২

গ্রাম-বাংলায় ছড়িয়ে-ছিঁটিয়ে থাকা সজনে গাছে বাড়তি আয়-রোজগার

মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি :: আর্থিকভাবে লাভজনক ও অবিশ্বাস্য মাত্রায় পুষ্টির আঁধার হচ্ছে গ্রাম-বাংলায় ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা সজনে গাছ। এ গাছের সজনে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায় এবং এর ফুল, বীজ, পাতা, ছাল, আঠা, শিকড় ইত্যাদি যাবতীয় পুষ্টির আঁধার ও সাধারণ রোগ নিরাময়ে খুবই কার্যকরী। এখন সজনের পুরো সিজন। বাড়তি খরচ ছাড়াই খুব কম যতœ আর অল্প শ্রমে বেড়ে ওঠা একটি বড় আকারের সজনে গাছ থেকে ১২ থেকে ১৫ মণ ডাঁটা সংগ্রহ করা যায়। বাজারে যখন সজনে ডাঁটার প্রথম আমদানী ঘটে তখন প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। আমদানী বৃদ্ধির সাথে প্রতিকেজির মূল্য ১৫ থেকে ২০ টাকায় দাঁড়ায়। এ হিসেবে প্রতিটি গাছ থেকে ৯ হাজার ৬শ’ থেকে ১২ হাজার টাকার সজনে ডাঁটা বিক্রি করা যায়। সরাসরি বীজ থেকে আবার গাছের ডাল পুঁতে সহজেই এ গাছ তৈরী করা যায়। তেমন খরচ ছাড়াই সামান্য যতœ আর পরিশ্রমের উদ্যোগ নিলেই প্রতি পরিবারেই আসবে মোটা অংকের বাড়তি আয়। এদিকে এ গাছটির গুণাগুণ ব্যাপারে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, তাজা সজনে পাতায় রয়েছে গাজরের চেয়ে ২ গুণ বেশী ভিটামিন-এ, কমলা লেবুর চেয়ে ৭ গুণ বেশী ভিটামিন-সি, কলার চেয়ে ৩ গুণ বেশী পটাশিয়াম, দইয়ের চেয়ে ২ গুণ বেশী প্রোটিন, দুধের চেয়ে ৪ গুণ বেশী ক্যালসিয়াম, পালংশাকের চেয়ে ৩/৪ ভাগ বেশী আয়রণ এবং শুকনো সজনে পাতায় রয়েছে গাজরের চেয়ে ১০ গুণ বেশী ভিটামিন-এ, কমলার অর্ধেক ভিটামিন-সি, কলার চেয়ে ১৫ গুণ বেশী পটাশিয়াম, দইয়ের চেয়ে ৯ গুণ বেশী প্রোটিন, দুধের চেয়ে ১৭ গুণ বেশী ক্যালসিয়াম ও পালংশাকের চেয়ে ২৫ গুণ বেশী আয়রণ। সজনে পাতায় আর যেসব ভিটামিন, খনিজ বা খাদ্যপ্রাণ রয়েছে সেগুলো হল ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম, কপার, আয়রণ, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাসিয়াম, প্রোটিন ও জিংক। এছাড়া সজনে গাছের প্রতিটি অংশই উপকারী। এ গাছের পাতা, ডাঁটা পুষ্টি ও ওষুধ হিসেবে এবং ফুল, ছাল, আঠা ও শিকড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সজনের বীজ পানি পরিশোধনকারী, রান্নার তেল ও প্রসাধনী কাজে ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন ৮ থেকে ২৪ গ্রাম সজনে পাতা খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে ব্যাপক। তরকারীর সাথে রান্না করে তাজা অথবা শুকনো সজনে পাতা যে কোন খাবারের সাথে খাওয়া যায়। এর পাতা শুকিয়ে দীর্ঘদিন সংরক্ষণে রেখেও সারা বছর তরকারীর সাথে খাওয়া যায়। সজনে পাতা শুকিয়ে অথবা কাঁচা অবস্থায় এবং ডাঁটা তরকারীর সাথে নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সুন্দর ও মজবুত হয়। গবাদিপশুর জন্যও সজনে পাতা এক আদর্শ খাবার। সজনে পাতা গবাদিপশুকে নিয়মিত খাওয়ালে দুধ মাংস দুটোই অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। সজনে পাতা শুকনো অথবা কাঁচা উভয়ভাবেই গবাদিপশুকে খাওয়ানো যায় সারা বছর। সজনের গাছ উৎপাদন খুবই সহজ। তুলনামূলক অনুর্বর জমিতে স্বল্প স্থানেই এ গাছ তৈরী করা যায়। #



মহাদেবপুরে শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক প্রচারাভিযান


মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি :: আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসকে সামনে রেখে রবিবার সকালে নওগাঁর মহাদেবপুরে উত্তরগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে শ্রমিকের অধিকার বিষয়ক প্রচারাভিযানের অংশ হিসাবে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন বরেন্দ্রভূমি সমাজ উন্নয়ন (বিএসডিও’র) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নন-ষ্টেট এ্যাকটর কমিটির (এনএসএ) সভাপতি শওকত হোসেন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উত্তরগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শাহ্ আলম ফয়সাল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফয়জুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, বিএসডিও’র প্রোগ্রাম অর্গানাইজার শাহনাজ বেগম মুক্তি, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর আবু রেজা প্রমুখ। আলোচনা সভায় ইউপি সদস্যসহ প্রায় দুই শতাধিক কৃষি মজুর অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য বিএসডিও দাতা সংস্থা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ও অক্সফামের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন এনএসএ প্রকল্পের অংশ হিসাবে এই প্রচারাভিযানের আয়োজন করে।#
Ruby