বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১২

আড়াই একর মাত্র ২১ হাজার টাকা পুঠিয়ায় পুকুর ইজারা নিয়ে বানিজ্য

মোঃ মেহেদী হাসান, পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি :: রাজশাহী পুঠিয়ায় আড়াই একর সরকারী একটি পুকুর উপজেলা প্রশাসন মাত্র ২১ হাজার ৫ শত টাকা দিয়ে ইজারা দিয়েছেন। এলাকাবাসি অভিযোগ তুলেছেন এর আগে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে পুকুরটি ইজারা নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে মাছ চাষ করেছেন এক মুক্তিযোদ্ধা। ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো উপকারে আসেনি। পুকুরটি খোলা ভাবে ইজারা দেয়া হলে তিন বছরের জন্য তিন লাখ টাকা সরকার পেত বলে এলাকার মৎস ব্যবসায়ীরা জানান। এদিকে গোপন সমঝোতার মাধ্যমে পুকুরটি নাম মাত্র মূল্যে ইজারা দেয়ায় সরকারও মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে পুঠিয়ায় মডেল হাইস্কুলে পার্শ্বে দুই একর ৩৯ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তির একটি পুকুর গত ২৭ মার্চ ভূমি অফিস লীজ দেয়ার জন্য দরপত্র আহবান করে। এতে অনেক মৎস ব্যবসায়ীরা দরপত্রে অংশ গ্রহন করে। গত মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে খোলা ইজারা হওয়ার কথা ছিল বলে মৎস ব্যবসায়ীরা উপস্থিত হন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান এবং সহকারি ভূমি কমিশনার শাহীন আক্তার সুমী এলাকার সরকার দলীয় এমপি পুকুরটি মুক্তিযোদ্ধাদের দিতে বলেছেন বলে জানান। এলাকাবাসি অভিযোগ তুলেছেন  এর আগেও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে পুকুরটি ইজারা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলি ব্যক্তিগত ভাবে মাছ চাষ করেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো উপকারে আসেনি এবারও মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো কাজে আসবে না। মৎস ব্যবসায়ী শের মোহম্মাদ বলেন খোলা ডাক হলে আমি তিন বছরের জন্য তিন লাখ টাকা দিয়ে পুকুরটি ইজারা নিব। অপর মৎস ব্যবসায়ী রাব্বি বলেন আমি আড়ায় লাখ টাকা দিয়ে পুকুরটি খোলা ভাবে ইজারা দেয়া হলে আমি নেব। মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলি বলেন এর আগে আমি ব্যক্তিগত ভাবে পুকুটি ইজারা নেইনি। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে পুকুরটি ইজারা নিয়ে ছিলাম। আমি এমপি সাহেবের সাথে আলাপ অকরে খোলা ডাকের মাধ্যমে পুকুরটি পূণরায় ইজারার ব্যবস্খা করব। এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান  জানান পুকুরটি ইজারা দেয়ায় কোন অনিয়ম হয়নি। এমপি সাহেবের মৌখিক সুপারিশে পুকুরটি এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ইজারা দিয়েছি।#


Ruby