রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১১

পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর ৩১ থেকে ৫০ শয্যা নির্মাণ কাজ ৬ বছরেও শেষ হয়নি ঠিকাদার পলাতক তাই কাজ কবে শেষ হবে তা আল্লাহ্ জানে

বাঘা নিউজ ডটকম, বিজয় ঘোষ/ শেখ রেজাউল ইসলাম লিটন, ২৫ ডিসেম্বর : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর উপর উন্নতি করণ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ আধুনিক চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা উন্নতি কাজ শেষ হলে উপজেলার বিপুল জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবা নিশিচত হতে পারে। অথচ নির্মাণ কাজটি দেখাশোনা কারী সংস্থাকে ম্যানেজ করে কাজ না করেই নির্বিগ্নে কজ শেষ না করেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পালিয়ে যায়। আর নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় সচরাচর কেউ সেদিকে যাতায়াত করে না কিন্তু স্কুল-কলেজে ছাত্র-ছাত্রীরা সেখানে গিয়ে অসামাজিক কার্যক্রম চালায় এছাড়া মাদকসেবীরা নিরাপদ মাদক সেবন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিএমএমইউর রাজশাহী অফিস সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য বিগত সরকারের আমলে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ১৭ আগষ্ঠ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা উন্নতি করন ও দু’টি কোয়ার্টারের নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয়। কমপ্লেক্্রটির নির্মাণ কাজের জন্য ৩ কোটি ৭০ লক্ষাধিক টাকার বরাদ্দ দেয়। দরপত্রের মাধ্যমে মেসার্স পদ্মা ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কাজের কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর তৎকালীন জোট সরকারের আমলে কাজ শুরু করেন। কাজ শুরুর ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার নিদের্শনা থাকলেও তখন থেকে বিগত প্রায় ৬ বছরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কমপ্লেক্্রটির মাত্র ৭৩ ভাগ কাজ করে সম্পূর্ণ কাজ বন্ধ করে দেয়। তবে কমপ্লেক্্রটির নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে বা আদৌ হবে কিনা এ ব্যাপারে সিএমএমইউর কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য জানাতে পারেন নি। এছাড়া বর্ধিত করণের জন্য কাজের সময় সীমা ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, আদৌ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রটির ৫০ শয্যায় রূপান্তর হবে কি? এদিকে বার্ধিতকরণ কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় সমগ্র উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কমপ্লেক্্রটির নির্মাণ কাজ ঝুলে থাকায় উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ র্দুভোগ পোহাতে হচ্ছে। নতুন ভবনের নির্মাণ কাজের জন্য ইট, বালু খোয়াসহ বিভিন্ন উচ্ছিন্ন দ্রব্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রটিতে ভুতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যদিকে আধুনিক ৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রটিতে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এ উপজেলার প্রায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৯ জন মানুষ আধুনিক চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। 
 শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা উন্নতি করণ নির্মাণ কাজ স্থানে যেতে টিনের তৈরী গেট দিয়ে ঘেরা। আর সেখানে সাইন বোর্ডে লেখা আছে সংরক্ষিত এলাকা প্রবেশ নিষেধ। তখন এলাকার কয়েক জনের নিকট জানতে চাইলে নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, এই ঠিকাদার সুবিদাবাদি লোক যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সে দলের ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হয়ে যায় তিনি। আর এখানে কেউ খোজ নিতে আসলে তার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ অথবা মামলা দেয়। বিগত সরকারের আমলে এলাকার জৈনক ব্যক্তি কাজের খোজ খবর নিতে আসলে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের কারে যা  এখনো চলছে। এছাড়া এলারকার বিভিন্ন দোকান থেকে নির্মাণ সামগ্রী বাঁকিতে ক্রয় করে এখনো তার মূল্য পরিশোধ না করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 এ ব্যাপারে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর ভারপাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানায়, নতুন বিলডিং এর সকল জিনসপত্র, ডাক্তার সবকিছু চলে এসেছে। শুধু নতুন বিলডিং এর কাজই শেষ হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়ায় যায়নি।
 এ ব্যাপারে সিএমএমইউর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানায়,  ৭৩ ভাগ কাজ করার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের না করেই তবে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় আমরা বার বার নোটিশ করার পরে তারা আর কাজ না করে ও আমাদের কোন খবর না দিয়ে পালিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু না করলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং নতুন করে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানায়।
Ruby