বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১২

চারঘাটে মাদক বন্ধে প্রশাসনের ঝটিকা অভিযান।

বাঘা নিউজ ডটকম, মিজানুর রহমান বিপ্লব, চারঘাট(রাজশাহী) প্রতিনিধি :: রাজশাহীর চারঘাট সীমান্ত এলাকায় চোরা কারবারীরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন আইন শৃংখলা বাহীনির চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক। এ কারনে বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক এলাকাগুলো ঝুটিকা অভিযান চালাচ্ছে।  সম্প্রতি চারঘাট বাবুপাড়া গ্রামে চারঘাট থানা পুলিশ মাদক বন্ধে মাদক স্পটগুলোতে বসে বসে সময় কাটাচ্ছেন। এই জন্য সেই সকল মাদক স্পট গুলোতে আগের মত মাদক সেবনকারীরা চলাচল করতে পারেনা। দুপুর থেকেই রাত্রী ৮টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্পটে আইন শৃংখলাবাহীনির সদস্যদের ডিউটি করতে দেখা যায়। রাজশাহীর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারী চক্র তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা এই সব সীমান্ত কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি কাপড় , ফেন্সিডিল , হেরোইন সহ নানা মাদক দ্রব্য দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসছে। উত্তরাঞ্চলের সীমান্তগুুলির মধ্যে রাজশাহীর ৩৩ টি সীমান্ত ঘাট দিয়ে দিনে ও রাতে চোরাকারবারী চক্র মাদক দ্রব্য সহ ভারতীয় কাপড়, প্রসাধনী সামগ্রী ্আনছে। সীমান্তের ওপার থেকে নৌকা করে ঘাটগুলি দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের ঘাটগুলিতে নিয়ে আসে। সেখান থেকে তাদের নির্ধারিত পুরুষের পাশা পাশি মহিলারাও বিভিন্ন ঊপায়ে দেশের অভ্যন্তরে কোটি কোটি টাকার ভারতীয় এসব মালামাল দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসছে। রাজশাহীর এইসব ঘাট গুলোর মধ্যে উলে¬খ্যযোগ্য হচ্ছে চারঘাট থানার রাওথা,অচিনতলা,মুক্তারপুর, ইউসুফপুর, টাঙ্গন, সাহাপুর, বাঘার থানার মীরগঞ্জ, আলাইপুর, উদয়নগর, রাজশাহীর বুলুনপুর, তালাইমারী, গোদাগাড়ির সুলতানগঞ্জ, পোলাডাঙ্গা, ও চরখিদিরপুর সীমান্তঘাট। চোরাকারবারীরা বিভিন্ন মাদ্রক দ্রব্য বাংলাদেশে আনছেন তাই নয় এদেশ থেকেও বিভিন্ন মালামাল ভারত পাচার করছে। চোরাকারবারীদের পাচার করা মালামালের মধ্যে রয়েছে কাঁসা পিতলের ভাংড়ি, শ্যালো ইঞ্জিল, গ্যাস সিলিন্ডার এবং খাসির চামড়া। এসবের বিনিকাপড়ের পাশাপাশি ফেন্সিডিল ও হেরোইনসহ নানা প্রকারের মাদক দ্রব্য নিম্ন মানের ভারতীয় সার এবং কীটনাশক এই দেশে পাচার করে আনছে। বর্তমানে বাংলাদেশী রসুন ভারত যাচ্ছে তার পরিবর্তে আসছে নানা ধরনের মাদক দ্রব্য। সম্প্রতি চারঘাট উপজেলার মুক্তারপুর এলাকা থেকে ফরিদপুর জেলার নাজমুল ইসলাম, মোঃ কিবরিয়া ও ইমারত সহ ৩৮ কেজি ভারতীয় গাঁজা আটক করে। গৌড়শহরপুর গ্রাম থেকে ১৩৯ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল হস আব্দুস সামাদ নামের এক ফেন্সিডিল ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। শ্রী খন্ডি গ্রাম থেকে ১৬ বোতল ফেন্সিডিল সহ পবা থানার জাংগাল গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও কাপাসিয়া গ্রামের এনামুল কবিরকে র‌্যাব সদস্যরা আটক করে। গোপাল পুর গ্রামে থেকে পাচারের সময় বিজিবি সদস্যরা ৮ বস্তা রসুন আটক করে কিন্তু কোন আসামীকে পাওয়া যায়নি। খোর্দ্দগোবিন্দপুর গ্রাম থেকে জিয়ারুল ইসলামকে র‌্যাব সদস্যরা এক বস্তা রসুন সহ আটক করে। প্রতি নিয়তই বিভিন্ন মাদক সহ আসামী গ্রেফতার হচ্ছে। রাজশাহীর বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা টহল জোর দার কররেও বিভিন্ন সময় তাদের হাতে আটক কৃত মালামাল পৃথক পৃথক মামলা দায়ের হলেও আসামীরা আইনের ফাঁক ফকর দিয়ে অতি সহজেই জামিন পেয়ে যায়। আর জামিন পেয়েই আবার চোরাকারবাীতে জড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে মাদক ব্যবসায় অধিক লাভ হয়ায় চোরাকারবারী সদস্যরা এই মাদক ব্যবসায় বেশী জুকি যেনেও তারা জবিনের জুকি নিয়েই এই ব্যবসা করে চলেছে বলে এলাকার অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।


Ruby