শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১২

দুঃখি মানুষের মূখে হাসি ফুটাতে দোর গোরায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিচ্ছে সরকার......এমপি ড. আকরাম চৌধুরী

মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি :: নওগাঁ-৩ আসনের এমপি ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার দুঃখি মানুষের মূখে হাসি ফুঁটাতে দোর গোরায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিচ্ছে। গ্রামের সাধারন মানুষ এখন হাতের নাগালেই বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। তিনি এই সফলা ধরে রাখতে আবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারকে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে ক্ষমতাই রেখে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহবান জানান। তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাইদের ৬ সপ্তাহ ব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর শুভ উদ্ধোধনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প.কর্মকতা ডাঃ আব্দুল জব্বার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামসুদ্দীন আহম্মেদ, সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব ভোঁদন, যুগ্ম-সম্পাদক গোলাম নূরানী আলাল, ভাইস চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, হাসিনা বিশ্বাস, প.প. কর্মকর্তা আলাউদ্দীন, ডাঃ রঞ্জন চৌধুরী, ওসি মাহমুদুল আলম প্রমূখ।#







মহাদেবপুরে সাংবাদিকের দাদার ইন্তেকাল



মোঃ আককাস আলী নওগাঁ প্রতিনিধি ঃ

নওগাঁর মহাদেবপুর প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক এ.কে. সাজু’র দাদা গফির উদ্দীন (৭০) গতকাল শনিবার সকালে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না......... রাজিউন)। তিনি মৃতুকালে স্ত্রী, ৩ ছেলে, ৩ মেয়ে সহ অসংখ্য গুনোগাহি রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে মহাদেবপুর প্রেসক্লাবের সকল সদস্যগন শোকসপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। সন্ধায় তার মৃতদেহ পারিবারিক কবরস্থানে সমাধা করা হবে।





বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং

নওগাঁয় পানির অভাবে ইরি বোরো ক্ষেত হুমকির মুখে

মোঃ আককাস আলী নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁয় অব্যাহত লোডশেডিং আর অনিশ্চিত বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। পানি সেচের অভাবে অধিকাংশ এলাকায় ধানের জমির পানি শুকিয়ে গেছে। কোনো কোনো এলাকায় জমিতে ধরেছে ফাটল। পানির অভাবে সেচ কাজ ব্যাহত হওয়ায় এবারের মৌসুমে ধানের কাক্সিক্ষত ফলন না পাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষক। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১১টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২ লাখ ৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-রোরো ধান চাষ করা হয়েছে। নওগাঁ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ৮ হাজার ২০০ বিদ্যুৎ চালিত গভীর-অগভীর পাম্পের আওতায় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটালেও দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। অধিকাংশ সময় চলছে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। ইরি-রোরো ধান চাষের ভরা মৌসুমে যেখানে ২৪ ঘণ্টায় ১২ ঘণ্টা সেচ সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন সেখানে লোডশেডিংয়ের কারণে দিনরাত মিলে কৃষকরা বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেন মাত্র ৫-৬ ঘণ্টা। মান্দা উপজেলার কুসম্বা গ্রামের কৃষক জামির জানান, ধান চাষের এ সময়ে জমিতে কমপক্ষে ৪ ইঞ্চি পানি থাকা প্রয়োজন হলেও অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ চালিত সেচ প্রকল্পের গভীর-অগভীর নলকূপ অধিকাংশ সময় থাকছে বন্ধ। দিনের বেলা জমিতে কোনো প্রকার সেচ দিতেই পারছেন না কৃষকরা।

নওগাঁ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক মিনহাজুল ইসলাম জানান, তিনি নিজে ৩টি স্কিম করেছেন। কিন্তু নিয়মিত সেচ দিতে না পারায় ধানের চারাগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কখনো ১ ঘণ্টা কখনো আবার আধা ঘণ্টা পর পর চলে যায় বিদ্যুৎ। নওগাঁ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ নূরুর রহমান জানান, রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ইরিগেশন পিক আওয়ারে জমিতে সেচ কাজে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৯০ থেকে ৯১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন, ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে যে পানি সেচ দেয়া হচ্ছে তা দিয়ে ক্ষেতের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। আসলে ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারলে কৃষকরা পুরোপুরিভাবে তাদের জমিতে সেচ দিতে পারতেন। ইতোমধ্যে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান, পিডিবির চিফ ইঞ্জিনিয়ার, পাওয়ার সেলের ডিজি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। পানির চাহিদা বেশি থাকায় নিয়ামতপুর গ্রিডে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
Ruby