আকতার হোসেন অপূর্ব, নাটোর প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড নাটোর অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবহেলা ও খামখিয়ালীপনায় শহরের সহস্রাধিক গ্রাহক বিপাকে পড়েছেন।নিয়মিত বিল পরিশোধ করার পরও বকেয়া থাকার অভিযোগ এনে বিদ্যুৎ অফিস থেকে ১২শ ৫০ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নোটিশ দেয়া হয়েছে। এদের সবাইকে ২০০৫ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হয়েছে। এক মাস থেকে শুরু করে ১৬ মাস পর্যন্ত এই বকেয় দেখানো হয়েছে। ২০০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত একেক জনের বকেয়া দেখানো হয়েছে। প্রতিটি নোটিশে বিলের অতিরিক্ত গড়ে প্রায় সাড়ে তিনশত টাকা করে সার্ভিস চার্জ ধরা হয়েছে। হঠাৎ এমন নোটিশে গ্রাহকরা বিভ্রান্ত হয়ে অফিসে ছুটে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে যারা বিল পরিশোধের পুরাতন কাগজপত্র খুঁজে সাথে নিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে অফিসের পক্ষ থেকে ভুল হয়েছে বলে বিদায় করা হচ্ছে। আর যে সব গ্রাহক পরিশোধের কাগজ হারিয়ে ফেলেছেন তাদের নতুন ভাবে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। ভুক্তভুগি একাধিক গ্রাহক এই অবহেলা ও খামখিয়ালীপনার কারনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নাটোর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে গেলে ভুক্তভুগি শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকার গ্রাহক মন্তাজ আলী জানান, তাকে ২০০৮ সালের জুলাই মাসের বকেয়া ১০১৮ টাকা পরিশোধের নোটিশ দেয়া হয়েছে। পরে তিনি অফিসে কাগজপত্র দেখান উক্ত মাসে তার বিল হয়েছিল মাত্র ৩০১ টাকা। বিলটি তিনি যথা সময়ে পরিশোধও করেছেন। শহরতলীর তেবাড়িয়া মহল্লার আলহাজ্ব মোজাম্মেল হোসেন জানান, তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে ২০০৬ সালের মার্চ মাসের বিল পরিশোধের নোটিশ দেয়া হয়। তিনিও এসময় বিল পরিশোধের কাগজ দেখান। একই মহল্লার নাজিম উদ্দিন কে ২০০৭ সালের আগষ্ট মাসের ও ২০০৮ সালের ফেব্র“য়ারী মাসের এবং মানজুরুর রহমান কে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসের এবং মঞ্জুয়ারা বেগমকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসের বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। শহরের উত্তর বড়গাছার আব্দুল মজিদ খান কে ২০০৮ সালের জুন ও জুলাই মাসের বিল পরিশোধের জন্য নোটিশ দিলেও এরা সবাই যথা সময়ে বিল পরিশোধের কাগজপত্র দেখান। তেবাড়িয়ার শ্রমিক জমসেদ আলী জানান, তাকে ২০০৭ সালের জানুয়ারী, ফেব্র“য়ারী ও মার্চ মাসের বিল পরিশোধ করতে বলা হয়। তিনি এসে অফিসের ভলিয়মে দেখতে পান তার জানুয়ারী ও ফেব্র“য়ারী মাসের বিল পরিশোধ করাই আছে। কাগজ হারিয়ে ফেলায় তিনি শুধু মার্চ মাসের বিল পরিশোধ করেছেন। সাধারন গ্রাহকরা বলছেন ব্যাংকের মাধ্যমে যথা সময়ে বিল পরিশোধের পরও ইচ্ছেকৃত তাদের হয়রানী করতে পিডিবির লোকজন এগুলো করছে। যারা না বুঝে টাকা দিয়ে দিচ্ছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুইবার করে নেয়া এই টাকা কোথায় জমা হচ্ছে তা কেউ জানতে পারছে না। এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে নোটিশ ও বিল প্রস্তুতকারী অফিসের কর্মচারী শফিকুল ইসলাম বলেন, ভুল গুলো ইচ্ছাকৃত নয়।
নাটোর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন প্রামানিক বলেন, নাটোরে ১৫হাজার গ্রাহক। ২০০৮ সালের আগষ্ট থেকে তাদের কম্পিউটার সিষ্টেম চালু হয়ার পর থেকে এই ধরনের আর ভুল হচ্ছে না। ভুল গুলো সবই আগের। ১২শ ৫০ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নোটিশ দেয়া হয়েছে, তবে এর মধ্যে প্রায় আড়াইশ গ্রাহকের আর কোন অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। বকেয়া পাওয়া যাবে না এমন গ্রাহকদের ৫/৬ বছর পরে নোটিশ দিয়ে হয়রানী করার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইচ্ছেকৃত নয়, একটা পদ্ধতি চালু করার জন্য এটা করতে হয়েছে। তবে এটা আরো আগেই যারা কর্মরত ছিলো তাদেরই করা উচিত ছিলো। ###
নাটোরে ইসলামী ব্যাংকের প্রবাসী গ্রাহক সমাবেশ
আকতার হোসেন অপূর্ব, নাটোর প্রতিনিধি :: ইসলামী ব্যাংক নাটোর শাখায় ফরেন রেমিটেন্স উপকার ভোগিদের নিয়ে গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে ব্যাংকের নিজস্ব মিলনায়তনে এই গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, নাটোর জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুল, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নাটোরের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম উম্মে ফাতিমা। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ব্যাংকের রাজশাহী জোনাল হেড এ এ এম হাবিবুর রহমান। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ব্যাংকের সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও উপকারভোগি গ্রাহক কোরবান আলী, মাসুমা খাতুন ও একরামুল ইসলাম। বক্তারা বলেন, দেশের মোট রেমিটেন্সের ৩০ ভাগ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আসে। ইসলামী ব্যাংকের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী সব সময় এ সব গ্রাহকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নাটোর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে গেলে ভুক্তভুগি শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকার গ্রাহক মন্তাজ আলী জানান, তাকে ২০০৮ সালের জুলাই মাসের বকেয়া ১০১৮ টাকা পরিশোধের নোটিশ দেয়া হয়েছে। পরে তিনি অফিসে কাগজপত্র দেখান উক্ত মাসে তার বিল হয়েছিল মাত্র ৩০১ টাকা। বিলটি তিনি যথা সময়ে পরিশোধও করেছেন। শহরতলীর তেবাড়িয়া মহল্লার আলহাজ্ব মোজাম্মেল হোসেন জানান, তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে ২০০৬ সালের মার্চ মাসের বিল পরিশোধের নোটিশ দেয়া হয়। তিনিও এসময় বিল পরিশোধের কাগজ দেখান। একই মহল্লার নাজিম উদ্দিন কে ২০০৭ সালের আগষ্ট মাসের ও ২০০৮ সালের ফেব্র“য়ারী মাসের এবং মানজুরুর রহমান কে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসের এবং মঞ্জুয়ারা বেগমকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসের বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। শহরের উত্তর বড়গাছার আব্দুল মজিদ খান কে ২০০৮ সালের জুন ও জুলাই মাসের বিল পরিশোধের জন্য নোটিশ দিলেও এরা সবাই যথা সময়ে বিল পরিশোধের কাগজপত্র দেখান। তেবাড়িয়ার শ্রমিক জমসেদ আলী জানান, তাকে ২০০৭ সালের জানুয়ারী, ফেব্র“য়ারী ও মার্চ মাসের বিল পরিশোধ করতে বলা হয়। তিনি এসে অফিসের ভলিয়মে দেখতে পান তার জানুয়ারী ও ফেব্র“য়ারী মাসের বিল পরিশোধ করাই আছে। কাগজ হারিয়ে ফেলায় তিনি শুধু মার্চ মাসের বিল পরিশোধ করেছেন। সাধারন গ্রাহকরা বলছেন ব্যাংকের মাধ্যমে যথা সময়ে বিল পরিশোধের পরও ইচ্ছেকৃত তাদের হয়রানী করতে পিডিবির লোকজন এগুলো করছে। যারা না বুঝে টাকা দিয়ে দিচ্ছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুইবার করে নেয়া এই টাকা কোথায় জমা হচ্ছে তা কেউ জানতে পারছে না। এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে নোটিশ ও বিল প্রস্তুতকারী অফিসের কর্মচারী শফিকুল ইসলাম বলেন, ভুল গুলো ইচ্ছাকৃত নয়।
নাটোর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন প্রামানিক বলেন, নাটোরে ১৫হাজার গ্রাহক। ২০০৮ সালের আগষ্ট থেকে তাদের কম্পিউটার সিষ্টেম চালু হয়ার পর থেকে এই ধরনের আর ভুল হচ্ছে না। ভুল গুলো সবই আগের। ১২শ ৫০ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নোটিশ দেয়া হয়েছে, তবে এর মধ্যে প্রায় আড়াইশ গ্রাহকের আর কোন অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। বকেয়া পাওয়া যাবে না এমন গ্রাহকদের ৫/৬ বছর পরে নোটিশ দিয়ে হয়রানী করার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইচ্ছেকৃত নয়, একটা পদ্ধতি চালু করার জন্য এটা করতে হয়েছে। তবে এটা আরো আগেই যারা কর্মরত ছিলো তাদেরই করা উচিত ছিলো। ###
নাটোরে ইসলামী ব্যাংকের প্রবাসী গ্রাহক সমাবেশ
আকতার হোসেন অপূর্ব, নাটোর প্রতিনিধি :: ইসলামী ব্যাংক নাটোর শাখায় ফরেন রেমিটেন্স উপকার ভোগিদের নিয়ে গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে ব্যাংকের নিজস্ব মিলনায়তনে এই গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, নাটোর জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুল, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নাটোরের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম উম্মে ফাতিমা। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ব্যাংকের রাজশাহী জোনাল হেড এ এ এম হাবিবুর রহমান। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ব্যাংকের সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও উপকারভোগি গ্রাহক কোরবান আলী, মাসুমা খাতুন ও একরামুল ইসলাম। বক্তারা বলেন, দেশের মোট রেমিটেন্সের ৩০ ভাগ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আসে। ইসলামী ব্যাংকের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী সব সময় এ সব গ্রাহকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে।