বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১২

রাণীনগরের বালুভরা রেজিঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের

এম.এ.রউফ (রিপন),রাণীনগর (নওগাঁ) থেকে :: নওগাঁর রাণীনগরের পশ্চিমবালুভরা (মডেল) রেজিষ্টার্ড প্রার্থমিক বিদ্যালয়ে পাশের হার শতভাগ হলেও শিক্ষক,সংকট ও ব্যাপক পাটদান কক্ষ না থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রয়জনীয় বেঞ্চ না থাকায় দাড়িয়েই ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়ের ৫টি শ্রেণীতে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখা ২০৫জন। অথচ পাটদান কক্ষ মাত্র একটি।সে কারনে সেটিতেই গাদগাদি করে পাঠ গ্রহন করছে ছাত্র-ছাত্রীরা।ইস্কুলটির মাত্র তিনটি কক্ষের দুইটি টিনের ছাউনি বাকিটি ছাদ পেটানো। টিনগুলো পুড়ানো হওয়ায় মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।তাই বর্ষার পানি পড়ে আর ছাদ না থাকায় গ্রীস্মের প্রচন্ড গরমে টিনের চালার তাপে অনেক শিশু শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়। ফলে বর্ষাকালে ছাত্র-ছাত্রীরা ইস্কুলে আসতে চাইনা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিদ্যালয়ের পুর্ব দিকের দুইটি কক্ষ খোলা আকাশের নিচে উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে থেকে এর জানালা ,দরজা সহ দেয়াল গুলো নস্ট হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন জানান,তার ইস্কুলে প্রতি বছরই পাশের হার শতভাগ। ইস্কুলে পাঠকক্ষের সল্পতার কারণে একটি কক্ষে ৫০ জনের অধিক ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করতে হচ্ছে। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা পাঠে মনযোগ হারিয়ে ফেলছে। শিক্ষক সল্পতার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ন্ত্রনে রাখাটাও খুব দুরুহ হয়ে দাড়িয়েছে। ইস্কুলে বর্তমানে দুইজন শিক্ষক ও দুইজন শিক্ষিকা। তাই ২০৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর এই প্রতিষ্টানটি চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।সুধূ শিক্ষক সল্পতায় নয়,বাচ্ছারা বসে ক্লাস করবে তার জন্য প্রয়জনীয বেঞ্চ নেই।তাই দাড়িয়েই ক্লাস করতে হয় তাদের। এদিকে চেয়ার টেবিল নষ্ট হয়ে গেছে। প্রয়জনীয় কাগজপত্রাদি সংরক্ষনের জন্য ভালো একটি আলমিরাও নেই।তাই এখানে যদি আরও একজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় এবং পরিত্যাক্ত কক্ষগুলো সংস্কার করে পাঠদানের উপযোগী করা হয় তাহলে ইস্কুলের বড় সমস্যাটি সমাধনহত। 
Ruby