রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

আত্রাইয়ে পূজা উদযাপন নিয়ে দু’গ্র“প মুখোমুখি ॥ যে কোন সময়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা

এম.এ.রউফ (রিপন), রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাইয়ে হিন্দু সম্প্রদয়ের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব ১৪ পরিবারকে এক ঘরে করে রেখে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্টান উদযাপন করছে পতিপক্ষরা । আলাদা ভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে গিয়ে বাধার সম্মুখিন হচ্ছে এক ঘরে করে রাখা ১৪ পরিবার।

সরজমিনে জানা গেছে, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভোপাড়া ইউপি’র তিলাবদুরিয়া গ্রামের সর্বজনীন কালীমন্দিরে গত বছরে রথযাত্রা উদযাপন শেষে উভয় পক্ষের মধ্যে আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে তাদের মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব হয়। উক্ত দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা অমিমাংসিত থেকে যায় এবং ঐ এলাকায় মোট ৩২০ পরিবারের মধ্য শ্রী নারায়ন চন্দ্র প্রাং,সুশিল চন্দ্র দেবনাথ,সুকুমার চন্দ্র প্রাং,সকমল চন্দ্র প্রাং,কালিপদ চন্দ্র প্রাং,অনিল চন্দ্র দেবনাথ,ফুনিন্দ্রনাথ দেবনাথ,নিমাই চন্দ্র দেবনাথ,নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, বাবুর চন্দ্র প্রাং,গোবিন্দ চন্দ্র প্রাং,হারান চন্দ্র প্রাং,প্রদিপ চন্দ্র প্রাং,সুশিল চন্দ্র প্রাং সহ তাদের পরিবারের সকল সদস্যকে এক ঘরে করে রেখে তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব পালন করছে।

এক ঘরে করে রাখা পরিবারের প্রধানরা জানান, গত ২৯শে ফ্লাগুন তারা সর্বজনীন মন্দিরে আমাদেরকে ছেড়েই বাসন্তী পূজা করলে আমরাও ১৪পরিবার মিলে গত বৃহস্পতিবার বাসন্তী পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে গেলে মন্দিরে সভাপতি শ্রী ভবেস চন্দ্র সাহা ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী দিলীপ চন্দ্র মন্ডলের নেতৃত্বে তাদের দলবল সহ আমাদেরকে বাধা দেয়। এর এক পর্যায়ে বিষয়টি চরম আকার ধারণ করলে প্রসাশনের হস্তক্ষেপে আমরা মন্দিরের বাহিরে পূজা উদযাপন করেছি।

সার্বজনীন মন্দিরের সভাপতি শ্রী ভবেস চন্দ্র সাহা জানান,বিষয়টি আমরা থানা পূজা উদযাপন কমিটিকে জানিয়েছি তারা কয়েকদিনের মধ্যে বসে বিষয়টির সমাধান করে দেবে বলে আমাদেরকে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান,বিষয়টি আমরা জানার সঙ্গে সঙ্গে সেকানে পুলিম মোতায়েন করেছি এবং এক ঘরে করে রাখা ১৪পরিবারের পূজা উদযাপনের ব্যবস্থাও করেছি।বর্তমানে পরিস্থিতি ভাল। বিষয়টির সমাধানের জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।
Ruby