শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১২

চট্টগ্রামে রেলওয়ে মহাপরিচালক লোকবল সংকটে ১৪৬টি রেল স্টেশন বন্ধ রয়েছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো :: রেলওয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবু তাহের বলেছেন, লোকবলের অভাবে আমার জানা মতে ১৪৬টি স্টেশন বন্ধ রয়েছে। শিগগির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। চেষ্টা করব সংক্ষিপ্ত ও সহজ উপায়ে লোক নিয়োগ করতে। গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিআরবিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।একই সাথে তিনি  রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জনবল নিয়োগে অনিয়ম ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা চট্টগ্রাম ঘুরে গেছেন। যদি অনিয়ম ধরা পড়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রেলওয়ের চারটি প্রকল্পের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাইকার অর্থায়নে লাকসাম থেকে চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ডাবল লাইন করার কাজ এগিয়ে চলছে। এক হাজার ৩০১ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে গত নভেম্বরে। এছাড়া তাদের ৪০০ কোটি টাকা অর্থায়নে ১১টি মিটার গেজ লোকোমেটিভ আনা হচ্ছে কোরিয়া থেকে। ২০১৩ সালের জুলাই-আগস্টে ইঞ্জিনগুলো যুক্ত হবে। বাকি দুটি প্রকল্প হচ্ছে চট্টগ্রাম স্টেশন ইয়ার্ড রিমডেলিং ও পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কশপ আধুনিকায়ন করা।

এ সময় রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, জেনারেল ম্যানেজার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মোজাম্মেল হক, জিএম (ডেভেলপমেন্ট) আনোয়ারুল কবির উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সিআরবি সম্মেলনকক্ষে চট্টগ্রাম স্টেশন ইয়ার্ড রিমডেলিং প্রকল্পের আওতাভুক্ত স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন মহাপরিচালক মো. আবু তাহের। বৈঠক শেষে তিনি অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে যাত্রীসেবার মান বাড়াতে ‘স্টেশন ইয়ার্ড রিমডেলিং’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা স্টেশনের মতো চট্টগ্রামেও ট্রেনের ইঞ্জিন যাতে সোজা পথে বেরিয়ে যেতে পারে সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই ২২৬ কোটি টাকার প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।

ইয়ার্ড রিমডেলিং প্রকল্পের আওতাভুক্ত স্টেশন এলাকার বিদ্যালয়, মাদ্রসাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এক মাসের মধ্যে রেলওয়ের জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ সবার সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা সহযোগিতা করবে বলে কথা দিয়েছেন। আমাদের ১১৫ ফুট নেওয়ার কথা ছিল। তবে আপাতত ৯০ ফুট নেওয়া হবে। এতে রেল কর্মচারীদের বাসা তেমন একটা ভাঙতে হবে না।

শাখা লাইনের সংস্কার প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, ষোলশহর-নাজিরহাট ও চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনের কাজ চলছে। দুই এলাকায় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। ব্রিজ, লাইন ইত্যাদি মেরামত হয়ে গেলে এ লাইনে ৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এসময় তিনি দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ তৈরির জন্য দেড়শ মিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্র“তি পেয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে রাখা হয়েছে মাত্র ৪০০ কোটি টাকা। তাই ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা দেখা দিয়েছে।



 আমি জেলা জর্জের দেহ রক্ষী কেউ কিছু করতে পারবেনা



চট্টগ্রামে আবাসিক হোটেল ফ্যাবারিনে চলচ্ছে ব্যাপরোয়া অসামাজিক কর্মকান্ড

জীবন কৃষ্ণদেবনাথ চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে আবাসিক হোটেল ফ্যাবারিনে চলচ্ছে ব্যাপরোয়া অসামাজিক কর্মকান্ড।এ ব্যাপারে হোটেল ফ্যাবারীনের ম্যাসেস র্পালার পরিচালক হারাধনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন শিল্প মন্তী আমার আত্তীয় ও আমার খালাত ভাই পুলিশ। পুলিশ খালাত ভাই পলাশ সাংবাদিকে ফোন করে জানালেন আমি জেলা জর্জের দেহ রক্ষী কেউ কিছু করতে পারবেনা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উচ্চ প্রদস্ত কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের একটি আবাসিক এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করায় এলাকায় অনেক গুলো ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। রীতিমত হোচট খওয়ার মত অবস্থায় এখানে গজে উঠেছে নিয়মের বাহিরে অনেক গুলো অবৈদ ম্যাসেস, পার্লার, হেয়ার ড্রেসার সেলুন। তেমনি গতকাল সন্ধায় স্থানিয় এক ব্যাবসায় বাসাথেকে হাঁটতে বের হন। হরতালের কারণে প্রতিদিনের মতো যানজট আর মানুষের ভিড় না থাকায় তিনি শেখ মুজিব রোডের ফুটপাত দিয়ে যাচ্ছিলেন। আগের বনানী কমপ্লেক্স সিনেমা হলের পাশ দিয়ে হেঁটে এক বন্ধুর সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ বেলায়ত সাহেবের চোখে পড়লো আগ্রাবাদ ডেবার পশ্চিম পাড় এলাকায় একটি বহুতলা ভবনের পাশে সান র্বোডে লেখা রয়েছে রানী হেয়ার ড্রেসার ও এখানে অতি যতœ সহ কারে পুরুষের শরীরের ম্যাসেস করার সুব্যবস্থা রয়েছে। অবশেষে বেলায়ত সাহেব গুটি গুটি পায়ে প্রবেশ করলেন রানী হেয়ার ড্রেসার সেলুনে পা বাড়া মাএই চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়ে সুন্দরী মহিলা জানতে চায়লেন কি সেবা করতে পারি অপনার। এমন সময় এলাকার কিছু যুবক দল বেদে সেলুন থেকে বের হতে বেলায়ত সাহেব কে দেখে যুবক গুলো মাতা নিচু করে সেলুন থেকে বের হতেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন তিনি। অবশেষে বুঝার আর কিছু বাকী নেই। তিনি বুঝতে পারলেন সেলুনের ভিতওে আরো কয়েকটি রুমে আরো কয়েকজন যুবক কয়েকজন যুবতীর সাথে অবস্থান করছেল। সেলুনের সার্বিক পরিবেশ অনুধাবন করে তিনি নিশ্চিত হলেন, অভিজাত সেলুনের নামে এখানে অবাধে চলছে নানা অশ্লীল কর্মকান্ড। নগরীর গ্ররুত্বপূর্ণ এলাকা গুলোতে এভাবে ব্যাবসার আড়ালে চলছে অসামাজিক কর্মকান্ড। অন্যদিকে শহরের স্টেশন রোড এলাকায় অবস্থিত পাঁচ তারকা আবাসিক হোটেল ফ্যাবারিনে ও প্রকাশে ম্যাসেস র্পালারের আড়লে চলছে অসামাজিক কর্মকান্ড এখানে ম্যাস র্পালারটি পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম প্রথম শ্রেণীর অর্থ ঋণ আদালতে ম্যজেস্টেটের বর্ডিগার্ড পলাস ও তার খালাত ভাই হারাদন জেলা  জজের প্রবাব খাটিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অসামাজিক কর্মকান্ড ও দেহ ব্যাবসা ৮/১০ জন সুন্দরী মেয়ে রেখে ম্যাসেস র্পালারের আড়ালে হারাদন ও পলাস চালাচ্ছে অসামাজিক কর্মকান্ড পলাস ও হারাদনের বাড়ী চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার এক নং করের হাট এলাকার চৌওরা গ্রামে অবস্থিত । অতি সয় এদেরকে আটক করে আইনের কাটগড়ায় দাড় করানোর জন্য এলাকা বাসি প্রশাশনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। অন্যদিকে রানী সেলুনের বিষযটি ডবলমুরিং থানায় অবহিত করার পর পুলিশ রাণী সেলুনে অভিযান পরিচালনা করে। এ খবর পেয়ে সরেজমিনে উদঘাটিত  হয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে সেলুনের নামে বিশেষ মহল যুব সমাজের অবক্ষয় ঘটানোর চিএ আমাদের চোখে পড়ে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যুবতী মেয়েদের চাকরির প্রলোভান দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়ানোর মতো অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কর্মকান্ড পরিচালিত হলেও সংশ্লিষ্ট মহল নিরবতা পালন করছে। নগরীর আগ্রাবাদ ২৭, শেখ মুজিব রোডের পাশেই একটি দুতলা ভবনের উপর আর্কষণীয় সাইন র্বোডে লেখা রয়েছে রাণী হেয়ার ড্রেসার। তার পাশে ইংরেজিতে লেখা অ টহরশ অঈ ঝযধষঁহ ভড়ৎ ংসধৎঃ সধহ । সিড়ি দিয়ে দুতলায় ওঠলে একটি সাজানো বাসর রুম। আট থেকে দশ জন লোক বসার মতো ব্যবস্থা আছে। এক পাশে চেয়ার-টেবিল দিয়ে মালিকের বসার জায়গা করা আছে। যেখানে বসলে সিড়ি দিয়ে কেউ উপরে ওঠলে আসলে তা সহজে দেখা যায়। দেয়ালের সাথে টাঙানো আছে একটি ডিজিটাল মূল্য তালিকা। এত উল্লেখ করা আছে পুরুষের সুন্দর্য্য চর্চার নানা বিষয়ের মূল্য। মূল্য তালিকার নিচে লেখা আছে আপনাদেও সন্তুষ্টিই আমাদেও একমাএ কাম্য। সেলুনের মালিক একজন মহিলা তিনি জানান, তার নাম স্বপ্না চৌধুরী। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলায়। তিনি প্রথমে নিজেকে প্রতিষ্টানের ম্যানেজার পরিচয় দেন। মালিকের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি অনেক গড়িমসি করে পরবর্তীতে নিজেই মালিক বলে জানান। এক বছরেরও অধিক সময় ধরে এই প্রতিষ্টানটি পরিচালনা করছেন। ভিতরের রুমগুলোতে দিগম্বর হয়ে আছেন সাগর, দিদার, রিয়াদ চঞ্চল নামের যুবক। তাদেও সাথে সীমা, মমতাজ, হাসিনা, রুবি ও শিরিন নামের যুবতী। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছেন। প্রথমে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার এবং পরে মালিক পরিচয়দানকারী স্বপ্না চৌধুরীর কাছে কিসের ভিওিতে এ ধরনের কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে এ সংক্রান্ত কাগজপএ রয়েছে, তবে সাথে নেই। কি কি ধরনের কাগজপএ কারা কারা তাকে দিয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে খবর দিলে কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির যুবক ঘটনাস্থলে এসে ভয়-ভীতি এবং বিভিন্ন মহলের দাপট দেখিয়ে রাণী সেলুনের পক্ষে ভূমিকা রাখেন। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম শহরের আনাছে কানাছে ব্যাঙের ছাতার মতো গজে উঠা অসংখ্য বিউটি র্পালার, ম্যাসেস র্পালারে প্রতি নিয়ত অসামাজিক কর্মকান্ড চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। অতিসয় এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে দাড়িয়েছে।


Ruby