বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১২

বিলুপ্তীর পথে পাতি চড়–ই

এম.এ.রউফ (রিপন),রাণীনগর(নওগাঁ)থেকে :: আমাদের দেশে মাত্র দুই প্রজাতির চড়–ই পাখি দেখা যায়। তার মধ্যে গেছো চড়–ই বিরল এক স্থায়ী পাখি। পাতি চড়–ই আমাদের গ্রাম বাংলার ঘর বাড়ি ও শহরে ইমারতে অতি সহজ দৃষ্ট। গৃহে বসবাস কারী পাতি চড়–ই খুবই মানুষ ঘেঁষা কিšু‘ এরা অনেকটা চালাক এবং মানুষের কাছ থেকে একটু দূরে থাকতে চায়। কাছে গেলেই ঝোপালো গাছের পাতি ডালে চলে যায়। বিশেষ করে ধারে কাছে যদি বড়ই গাছ থাকে। দলের একটি উড়াল দিলে বাঁকি গুলোও একে একে উড়ে যায়। পথচারীদের ফেলে দেওয়া চীনা বাদামের দানা খেতে পিচঢালা সড়কেও নামে। ঘাসের মধ্যেও পোকা মাকড় খুজে বেড়াই জোড়া পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে গ্রামে মাঠের কাছে ঝোপজঙ্গলে নদীর ধারে গ্রামের চালের উপরে দল বেঁধে থাকে। সবসময় একই সুরে ডাকে। ঝোপালো গাছে, ঘরের চালের ভিতর বাসা করে মার্চ থেকে আগষ্ট মাসে চার থেকে ছয়টি ডিম পাড়ে এবং ছানা ফুটতে ১৩ দিন লাগে। ছানারা উড়তে শিখলে বড়দের সঙ্গে মাঠে যায় খাবার খেতে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত,নেপাল,ভুটান,থাইল্যান্ড,মালয়েশিয়া,চীন,ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারে এরা আছে। এই পাখির দৈর্ঘ্য ১৫সে.মি.। খবারের তালিকায় আছে শস্যদানা, ফল,কচি ঘাসের ডগা ও বীজ ছোট কীটপতঙ্গ ও ফুলের কুঁড়ি। পাতি চড়–ই এখন প্রায় বিলুপ্তীর পথে তাই আমাদের জোড় প্রচেষ্টা থাকুক এদের সীমিত বাস যোগ্য জায়গাকে রক্ষা করা।#দুটো কর্মী হাত মানুষকে জীবন যুদ্ধে সফলতা এনে দেয়
Ruby