রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

এবি ব্যাংকের ৩০ বছর পূর্তি উৎসবে বক্তারা মানুষ সচেতন নয় বলেই সমাজে দূষিত ও ভেজাল রক্তের অবৈধ ব্যবসা চলছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো :: এবি ব্যাংকের ৩০ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষ্যে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক বলেন, মানুষ সচেতন নয় বলেই সমাজে দূষিত ও ভেজাল রক্তের অবৈধ ব্যবসা চলছে। তিনি বলেন, অযথা রক্তপাত সমাজে বিশৃঙ্খলা-হানাহানির জন্ম দেয়, সমাজ ও সভ্যতাকে ধ্বংস করে। অন্যদিকে, স্বেচ্ছায় রক্তদান সংকটাপন্ন রোগীর জীবন বাঁচাতে এবং নতুন জীবনের উন্মেষ ঘটাতে সহায়তার পাশাপাশি একটি মানবিক সমাজ গঠনে অনুপ্রাণিত করে।

গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে রক্তদান ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রোগ আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য লাভের সুযোগ সৃষ্টি, মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচানো এবং দূষিত রক্তের মাধ্যমে জীবনঘাতী রোগ ছড়ানো বন্ধ ও ভেজাল রক্তের অবৈধ ব্যবসা বন্ধে দরকার সামাজিক আন্দোলন।এবি ব্যাংকের ৩০ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে সার্বিক সহযোগিতা করে সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ শাখা। এতে ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৪৫ ইউনিট (ব্যাগ) রক্ত দেন।এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন এবি ব্যাংক চট্টগ্রাম অঞ্চল ১ ও ২-এর প্রধান মুহাম্মদ ইছহাক চৌধুরী, এবি ব্যাংকের সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইনুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আশরাফুল আজিজ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নাজিম উদ্দীন, এম সোহেল খান ও জেড এম বাবর খান প্রমূখ। এছাড়া ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যে সাতটায় জিইসি মোড়ের হোটেল পেনিনসুলায় ‘কাস্টমার নাইট ও কালচারাল প্রোগ্রাম’ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২৪ মার্চ চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।চট্টগ্রাম বুরে‌্যা, ৭ এপ্রিল ২০১২

 

চট্টগ্রাম নগরে দৈনিক ২৮ কোটি

লিটার পানির ঘাটতি রয়েছে

জীবন কৃষ্ণদেবনাথ চট্টগ্রাম ব্যুরো ঃ চট্টগ্রাম নগরে ৪৭ লাখ লোকের জন্য প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার পানির প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে চট্টগ্রামের ওয়াসার উৎপাদন ও বণ্টন ক্ষমতা হচ্ছে ২১ থেকে ২২ কোটি লিটার পর্যন্ত। নগরে  দৈনিক প্রায় ২৮ কোটি লিটার পানির ঘাটতির কথা স্বীকার করলে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফয়জুল্লাহ। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম ওয়াসার ‘ওয়াসা সপ্তাহ’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি  মাটির নিচে প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ নলকূপ কমিয়ে আনা হবে বলে ঘোষণা েিদন।

তিনি বলেন, ‘মাটির নিচে পানি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি রক্ষা করতে যথা সম্ভব ব্যবহার সীমিত করা উচিত। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে চট্টগ্রাম ওয়াসা ৯০ শতাংশ নলকূপের ব্যবহার কমিয়ে তা ১০ শতাংশে নিয়ে আসবে। যাতে বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করা যায়।

লিখিত বক্তব্যে প্রকৌশলী একেএম ফয়জুল্লাহ বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা বাংলাদেশে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাষণ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে সর্বোত্তম হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।আর তা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে জাইকা এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সহায়তায় বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এ স্বল্পতা পূরণে বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন করা হলে নগরীর সব এলাকায় পানি ও পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। একেএম ফয়জুল্লাহ বলেন, গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাল (আজ) ৮ এপ্রিল থেকে ‘ওয়াসা সপ্তাহ-২০১২’ পালন করা হবে।এসময় ওয়াসার ভিশন, মিশন, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনার কথা গ্রাহকদের জানানো হবে।এসময় সাংবাদিকদের শুরু হওয়া ওয়াসা সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মসূচি ও ওয়াসার বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন ওয়াসার এমডি।‘ওয়াসা সপ্তাহ ২০১২’র ৫ দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথমদিন আজ সকাল ১০টায় উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।২য় দিন কাল সোমবার চট্টগ্রাম ওয়াসা পাম্প ও স্থাপনায় ভিজিল্যান্স টিমের কার্যক্রম, ১০ এপ্রিল শহরের নানা স্কুলে ক্যাম্পিং, ১১ এপ্রিল সমগ্র শহর এলাকায় পাইপের লিকেজ সনাক্ত করণ এবং বকেয়া আদায় কার্যক্রম এবং ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম ইঞ্জিনির্য়াস ইনস্টিটিউটে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে জানানো হয়, ওয়াসা সপ্তাহ চলাকালীন  নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানির পাইপের লিকেজ এবং অবৈধ সংযোগ বন্ধের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে অন্যান্য গ্রাহকদেরও সেবার আওতায় আনা যায়।আর এ অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ পানি দূষণরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করে পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন করতে সম্মেলনে অনুরোধ করা হয়। চট্টগ্রাম বুরে‌্যা, ৭ এপ্রিল ২০১২

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসচাপায়

সেনাসদস্যের মা-বোন নিহত

চট্টগ্রাম ব্যুরো ঃ ঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ডের বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী (বিএম) গেইট এলাকায় বাসচাপায় ফাতেমা বেগম (৪৫) নামে এক মহিলা ও তার মেয়ে শারমিন সুলতানা (২৫) নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার  রাত সাড়ে ১২ টার সময় এ দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। দূর্ঘটনায় নিহত ফাতেমা বেগম ও শারমিন সুলতানা বিএমএতে কর্মরত সেনা সদস্য মোহাম্মদ ফিরোজের মা ও বোন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শক্রবার রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে ছেলের বাসায় ফেরার পথে সীতাকুন্ড উপজেলার বিএমএ গেইটের সামনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস সিএনজি অটোরিক্সাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন ফাতেমা ও শারমিন। দূর্ঘটনার পরপর গুরুতর আহত অবস্থায় দু,জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) নিয়ে এলে রাত ১ টার সময় কর্তব্যরত ডাক্তার ফাতেমাকে এবং শনিবার সকালে শারমিন সুলতানাকে মৃত ঘোষনা করেন। দূর্ঘটনায় নিহত সেনাসদস্যের মা-বোনের গ্রামের বাড়ি নাটোর জেলার বারঘরিয়া গ্রামে বলে জানা গেছে।

 

 

 

গুলিবিদ্ধসহ আহত-২৫

চট্টগ্রামে যুবলীগের বিবাদমান

দু’গ্র“পের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

জীবন কৃষ্ণদেবনাথ চট্টগ্রাম ব্যুরো ঃ চট্টগ্রাম নগরীতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুগ্র“পের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরা সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সমর্থিত ফরিদ মাহমুদ গ্র“প এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমিন সমর্থিত দিদারুল আলম মাসুম গ্র“পের সক্রিয় সদস্য বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। ফরিদ মাহমুদ নগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দিদারুল আলম মাসুম কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য।গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় প্রায় ২৫ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে কয়েজন গুলিবিদ্ধও আছে।গতকাল বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থল খুলশী থানাধীন নগরীর লালখান বাজার এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই রাতেই  ৬ জনকে আটক করেছে।

খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুল ইসলাম বলেন,দোকানের সামনে আড্ডা দেওয়া নিয়ে প্রথমে দুই গ্র“পের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষে গোলাগুলিও হয়েছে। প্রায় ১৫ জনের মত আহত আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। গতকাল বিকেল ৫টায় তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ মামলা করতে আসেনি ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর লালখান বাজার এলাকার চানমারি রোডে সাগর লন্ড্রি ও কর্নেল হোটেলে দিদারুল আলাম মাসুম গ্র“পের  কর্মীরা প্রতিদিন রাতে আড্ডা দেয়। একই এলাকায় ফরিদ মাহমুদ গ্র“পের  নেতাকর্মীরাও সক্রিয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ফরিদ মাহমুদ গ্র“পের কর্মীরা ওই হোটেলের সামনে গিয়ে মাসুম গ্র“পের কর্মীদের অনুপস্থিতিতে তাদের গালিগালাজ করে। এসময় তারা মাসুম গ্র“পের  লোকজনকে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় হোটেলের কয়েকজন কর্মচারীকেও লাঞ্চিত করে। এদিকে রাত ১২টার দিকে মাসুম গ্র“পের কর্মীরা হোটেলে এসে একথা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়। মুহূর্তের  মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। রাস্তায় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়।এসময় ফরিদ মাহমুদ গ্র“পের কিছু কর্মী চানমারি রোডে দিদারুল আলম মাসুমের বাসায় গিয়ে বাসার নিচে রাখা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। তারা মাসুমের বাসায়ও হামলা চালায়। এসময় দিদারুল আলম মাসুম কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে দিদারুল আলম মাসুম বলেন, সন্ত্রাসীরা যখন আমার বাসায় প্রবেশ করে আমার চালককে মারধর শুরু করে, এমনকি আমার স্ত্রীর গায়ে পর্যন্ত হাত তোলার চেষ্টা করে তখনই আমি আমার লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে দ্ইু রাউন্ড ফাঁকা গুলি করি।

সূত্র জানায়, মাসুমের বাসা থেকে গুলি ছোড়ার পর ফরিদ মাহমুদ গ্র“পের কর্মীরাও পাল্টা গুলি চালায়। খবর পেয়ে রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি বলেন, ফরিদ মাহমুদের সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যা করার জন্য এসেছিল। আমি তাদের কাছ থেকে প্রাণে বাঁচলেও আমার প্রায় ২০ জন কর্মী গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।মাসুম আরো জানান, তিনি সংঘর্সের বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমিনকে জানিয়েছেন। মন্ত্রী তাকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদ মাহমুদ বলেন, মাসুম নিজেই তো ৫-৬টি হত্যা মামলার আসামি। পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাকে কে হত্যা করবে। সে প্রথমে গুলি ছুড়েছে। সন্ত্রাসীর কাছে লাইসেন্স করা পিস্তল কিভাবে গেল পুলিশকে সেটা তদন্ত করতে হবে। তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের গ্র“পের  কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এরে মধ্যে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ আছে। গুরুতর আহত লালখানবাজার ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক তৌহিদ এবং মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য দোলোয়ার হোসেনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় যুবলীগের নগর কমিটি বৈঠকে বসে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।

চমেক সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার গভীর রাতে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের সবার অবস্থা আশংকামুক্ত । চট্টগ্রাম বুরে‌্যা, ৭ এপ্রিল ২০১২

 

সিএসডিএফ’র সংবাদ সম্মেলনে তথ্য

চট্টগ্রামে বালবিবাহের কারণে

আত্মহত্যাসহ  নানা অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে গ্রাম নগরীতে শতকরা ২০ ভাগই বিয়েই বাল্য বিয়ে। গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও শহরের বস্তিবাসীর মধ্যে বাল্যবিয়ের হার এখনও বেশি।

গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চিটাগাং সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিএসডিএফ)’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিকাহ রেজিস্ট্রার ও ধর্মীয় নেতারা, স্থানীয় সরকার, উপজেলা প্রশাসন প্রতিনিধি এবং সামাজিক উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিএসডিএফের ভাইস চেয়ারপারসন কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী বলেন,  চট্টগ্রামের তথ্য গোপন করে এক এলাকার বাল্যবিয়ে অন্য এলাকার কাজী দিয়ে পড়ানো হচ্ছে। এতে করে স্বাস্থ্যহানি, পুষ্টিহীনতা, আত্মহত্যাসহ নানা অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।

তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সিএসডিএফ কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী ও হাটহাজারী উপজেলা ও নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করেছে।নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন,  জন্মনিবন্ধন, বিয়ে নিবন্ধন এবং বাল্যবিয়ে রোধকে অন্যতম উন্নয়ন ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাল্যবিয়ে বড় অন্তরায়। এর তাৎক্ষণিক নেতিবাচক প্রভাবের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি কুফল অনেক বেশি। জন্মনিবন্ধন না করার কারণে মেয়ে শিশুরা নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সনদ না থাকায় বাল্যবিয়ে ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে।সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সিএসডিএফের চেয়ারপারসন এসএম নাজের হোসাইন, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি এম নাসিরুল হক, সাধারণ সম্পাদক অজয়মিত্র শঙ্কু ও জেলা সুফিয়া কামাল ফেলো সদস্য আবিদা আজাদ।সম্মেলনে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ আন্দোলনে সচেতন নাগরিক, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান সিএসডিএফ নেতারা। চট্টগ্রাম বুরে‌্যা, ৭ এপ্রিল ২০১২

 

চট্টগ্রামে অগ্নিকান্ডে ১১টি ঘর ভস্মীভূত

 

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরে অগ্নিকান্ডে ১১টি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। এর মধ্যে  ৪টি বসতঘর ও ৭টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গতকাল  শনিবার ভোরে নগরীর পতেঙ্গা থানার স্টিল মিল বাজারে সংগঠিত এ অগ্নিকান্ডে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।আগুনে ৪টি সেমিপাকা বসতঘর, ৪টি ক্রোকারিজ সামগ্রীর গুদাম, ২টি কলার আড়ত এবং একটি কাপড়ের দোকান পুড়ে গেছে।

 

 

৬০ হাজার নরনারীর চোখে ঘুম নেই

চট্টগ্রামে  ডেসটিনির অফিসে তালা

জীবন কৃষ্ণদেবনাথ চট্টগ্রাম ব্যুরো: উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাই থানার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ডেসটিনির প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহক  উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়াতে বিতর্কিত এম,এল,এম কোম্পানি ডেসটিনি গ্র“পের নানা অনৈতিক ব্যবসা নিয়ে প্রতিদিন লেখালেখি হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থানের মত মীরসরাই থানার সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আর এতে করে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহক। অন্যদিকে বিগত তিন চারদিনে বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক্স্্র ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ডেসটিনি বিষয়ে ঝড় বইছে। এতে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত না পাওয়ার আশংকায় সারাদেশের গ্রাহকের মতো মুষড়ে পড়েছেন মীরসরাইয়ের হাজার হাজার গ্রাহক। গ্রাহকদের এখন একটাই চিšতা আর তা হলো তারা টাকা ফেরত পাবে তো। গতকাল বৃহস্পতিবার মীরসরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ডেসটিনির গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের চরম এ উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় কথা। তবে প্রতিনিয়ত: অভয় দিয়ে যাচ্ছেন ডেসটিনির রুট লেভেলের কর্মকর্তারা, তারা বলছেন- সাংবাদিকরা লিখলে কিছুই হবেনা আমরা ব্যবসা করে সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছে যাব। এমন আতœবিশ্বাসমূলক কথা বলে সাšতনা দিয়ে গ্রাহকদের শাšত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। গ্রাহকরা জানান- ইতিপুর্বে আরেক হায়-হায় কোম্পানি ইউ,নি,পে- টু, ইউ স্পিক এশিয়ার কার্যক্রম কিছুদিন ঠিকভাবেই চলছিলো। কিছুদিন পরে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আতœসাৎ করে তারা উধাও হয়ে যায়। ডেসটিনির পরিণতি ও সে রকম হবে কিনা সে আশংকা পেয়ে বসেছে গ্রাহকদের। ডেসটিনির ভাষায় প্রাথমিক গ্রাহকদের বলা হয় ডিষ্ট্রিবিউটর, আর সেই  ডিষ্ট্রিবিউটররা এখন নানা দুশ্চিšতায় ভুগলেও কর্মকর্তারা রয়েছে খোশ মেজাজে ! এমন ভাব দেখালেন মীরসরাইয়ের আব্দুল মান্নান নামের ডেসটিনির এক কর্মকর্তা। মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে কথা হলে তিনি প্রথমে মিডিয়াকে দুষে বেশ কয়েকটি কথা বলে ফেলেন, তিনি দাবি করেন এসব মিডিয়ার বানোয়াট সংবাদ। এতে তাদের কিছুই যায় আসেনা। তিনি আরো বলেন, এগুলো নিয়ে আমরা মোটেও চিšিতত নই, বরং সাংবাদিকরা লিখতে লিখতে ক্লাšত হয়ে যাবে আর আমরা ব্যবসা করে সফল হয়ে যাবো। তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে এ রকম অনেক লেখালেখি হয়ে আসছে কৈ আমাদের কিছুইতো হয়নি। তিনি অত্যন্ত দাম্ভিকতার সহিদ বলেন যখন এতো বছর কিছু হয়নি তখন এখন আর কি-ইবা হবে। এ ছাড়া সারাদেশের বহুল আলোচিত মীরসরাই “ট্র্যাজেডি”তে ডেসটিনি গ্র“প প্রত্যেক নিহত পরিবারকে এক লাখ ও আহত পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে গত বছর এ কোম্পানীকে নিয়ে সন্দেহের মাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যায়। অনেকেই ওইদিন বলেন, দেশের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীগুলো এর চেয়ে কম টাকা দিলে ও ডেসটিনি গ্র“প এত টাকা দেয়ার উদ্দেশ্য কি? সে সময় অনুদানের টাকা প্রদেয় অনুষ্ঠানে ডেসটিনি গ্র“পের চেয়ারম্যান রফিকুল আমিন মীরসরাই থানায় ডেসটিনির ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছে বলে দাবী করেন। ডেসটিনিতে বিনিযোগ কারী বোরহান উদ্দিন, রাবেয়া বেগম বলেন সহ অনেকের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন ডেসটিনির লোকদের কথায় বেশি টাকা পাওয়ার লোভে পড়ে বিনিযোগ করেছি, কিন্তু এখন টাকা ফেরত পাবো কিনা সে চিšতায় রাতে ঘুম আসেনা। যদিওবা কর্মকর্তারা বলছেন টাকা ফেরত দেয়া হবে। কিন্তু কবে ফেরত দেয়া হবে সে ব্যাপারে কারা নিশ্চিত করে কিছু বলছে না। একাধিক গ্রাহক এই প্রতিবেদকসহ স্থানিয় অন্যান্য সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, ট্রি প্লান্টেশান প্যােেকজে ৫ হাজার টাকা বিনিযোগ করলে তিন মাসের মধ্যে সার্টিফিকেট দেয়ার কথা শর্তাবলীতে উল্লেখ থাকলেও গত দেড় বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর আজও আমরা সার্টিফিকেট পাইনি। সরেজমিনে গিয়ে মীরসরাই সদরের করিম মার্কেটের ৩য় তলায় গিয়ে দেখা গেছে- ডেসটিনির যে অফিস ছিল সব সময় সরগরম আজ সে অফিসে কর্মচারী রাহুল ছাড়া আর কেউ নেই। তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে জানায় অফিসের লোকজন শহরে মিটিংয়ে গেছে। অন্য দিকে বারইয়ারহাট পৌরসভার জামালপুর সুপার মার্কেটে অবস্থিত অফিসে অনেক গ্রাহক তাদের পাওনা টাকা ফেরত নিতে আসে, কিন্তু কর্মকর্তারা তাদের টাকা সময়মত ফেরত দেয়া হবে বলে জানিয়ে তাদেও বিদায় করতে চাইলে অনেকে টাকা ছাড়া যেতে নারাজ হলে অফিসের কর্মকর্তাও কর্মচারিরা তাদের বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যেতে বাধ্য করে বলে অভিযোগে প্রকাশ। ব্যপক খবর নিয়ে জানা গেছে- মীরসরাই থানার বারইয়ারহাট, মীরসরাই সদর, মিঠাছড়া, আবুতোরাব, জোরারগ্ঞ্জ, ঠাকুরদিঘী, নিজামপুর কলেজ, আবুরহাটসহ থানার বিভিন্ন বাজারে ডেসটিনি গ্র“পের প্রায় ২০টি শাখা অফিস রয়েছে। সরকারি নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন ডেসটিনির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার খবরে ওসব অফিসগুলোতে দায়িত্বরত:অনেকেই এখন গা ডাকা দিয়েছে বলে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে।
Ruby