শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

নওগাঁয় প্রভাবশালীরা কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জমির টপ সয়েল হারিয়ে ফেলছে ফসল আবাদের জীবনী শক্তি


মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি :: যে কেউ নির্দিধায় কেটে বিক্রি করছে জমির টপ সয়েল। এভাবে টপ সয়েল কেটে নিয়ে যাওয়াতে মাটি হারাচ্ছে তার ঊর্বরা শক্তি। ফলে ওই মাটি হারিয়ে ফেলছে ফসল আবাদের জন্য তার প্রয়োজনীয় জীবনী শক্তি। যারা বিক্রি করছে তাদের ঠেকানোর কোনই পদক্ষেপ না থাকায় জমির টপ সয়েল কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে। নওগাঁর মহাদেবপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠে মাঠে বিরাজ করছে এরকম দৃশ্য। ট্রাক, ট্রাক্টর ও ভ্যানসহ বিভিন্ন বাহনে ভরে জমির এসব টপ সয়েল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জমির এ টপ সয়েল দিয়ে তৈরী হচ্ছে ইট, ভরাট করা হচ্ছে ধানের বয়লারের নির্মিতব্য চাতাল, গোডাউন ও নানা গর্ত। এমনকি জমির এ টপ সয়েল দিয়েই সরকারী অনেক প্রকল্পও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের মাটিকাটা সংক্রান্ত প্রকল্প রাস্তা নির্মাণ ও বিভিন্ন মাঠ ভরাটসহ এরকম নানা প্রকল্পই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জমির টপ সয়েল দিয়ে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জমির টপ সয়েল ব্যতিরেখে বিকল্প উপায়ে মাটি সংগ্রহের ব্যবস্থা থাকার পরেও এ কাজটি করা হচ্ছে ধুম করে। এভাবে শুধু সরকারী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যই প্রতি বছর এসব এলাকার শত শত হেক্টর জমি হারাচ্ছে তার টপ সয়েল। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তির ইটভাটা, ধানের বয়লারের চাতাল, গোডাউন এবং নানান গর্তের পেটে প্রতি বছর বে-হিসেবীভাবে চলে যাচ্ছে অগণিত পরিমাণ হেক্টর জমির টপ সয়েল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরের বিভিন্ন মাঠ-ঘাটসহ সংলগ্ন খাজুর, হাতুড়, চান্দাস, উত্তরগ্রাম, সফাপুর, ভীমপুর, চেরাগপুর, এনায়েতপুর ও রাইগাঁর মাঠ-প্রান্তর থেকে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জমির টপ সয়েল। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর মাঠ-প্রান্তরেও বিরাজ করছে একই দৃশ্য। জমির এ টপ সয়েল যারা কেটে নিয়ে যাচ্ছে তাদের বেশীরভাগই প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহদুজ্জামান জানান, জমির প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানসমূহ টপ সয়েলের মধ্যেই থাকে। টপ সয়েল কাটার পর ওই জমি শতভাগ ফসল উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। জমির এ ক্ষতি ৪/৫ বছর ধরেও পূরণ হয়না।
Ruby