মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

গোপালগঞ্জে নারী-নির্যাতন মামলার ভিকটিম নিয়ে পুলিশ বিপাকে ; নিরাপত্তা হেফাজত থেকে বাবার জিম্মায়


বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ থেকে :: গোপালগঞ্জে বিচারাধীন একটি নারী-নির্যাতন মামলার ভিকটিম ও তার বাবাকে নিয়ে বিপাকে পড়ে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ ভিকটিমকে রোববার রাতে নিরাপত্তা হেফাজতে দিলেও আদালত সোমবার তার বাবার জিম্মায়ই দিয়েছেন। ১৯ ফেব্র“য়ারী বিকেলে ওই মামলার একমাত্র আসামী খোকন তালুকদার ও তার লোকজন পুনরায় শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করলে তাদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে অবশেষে যুবতী বিষপানে আত্ম-হত্যার চেষ্টা করলে এসব ঘটনা ঘটে।

জানাগেছে, ২০১১ সালের ৪ জানুয়ারী উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের এক যুবতীকে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীতাহানীর ঘটনায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আকমান তালূকদারের ছেলে খোকন তালুকদারকে একমাত্র আসামী করে টুঙ্গীপাড়া থানায় একটি নারী-নির্যাতন মামলা দায়ের  করেন যুবতীর বাবা হরেন্দ্রনাথ মলি¬ক।  খোকন তালুকদার ও তার অনুসারীদের একের পর এক হুমকী ও চাপের মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে বাদীর পরিবার। চাপের মুখে বাধ্য হয়ে বাদী মামলা তুলে নিতে চাইলেও মেয়ের আপত্তির কারনে তিনি তা পারেননি। ১৯ ফেব্র“য়ারী’১২ বিকেলে যুবতী বাড়ি থেকে অন্যত্র যাওয়ার সময় ওই খোকন তালুকদার ও তার পক্ষীয় ডুমুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুকুমার বাইন ওরফে চৈন্তা বাইন ও কবির তালুকদার পুনরায় শ্ল¬ীতাহানির চেষ্টা করলে তাদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ও বাবাকে নিরাপদ রাখতে অবশেষে যুবতী বিষপানে আত্ম-হত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে টুঙ্গীপাড়া থানা-পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে প্রভাবশালীদের ভয়ে ওই যুবতী তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না দেয়ায় বিপাকে পড়ে পুলিশ। তারা যুবতীর বাবা হরেন্দ্রনাথ মলি¬ককে থানায় ডেকে এনে অভিযোগ দিতে বললে তিনিও অভিযোগ দিতে অস্বীকার করেন। পরে পুলিশ যুবতী ও তার পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে যুবতীকে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠায়। পরে সোমবার আদালত ওই যুবতীকে তার বাবার হেফাজতে প্রদান করেন।  

টুঙ্গীপাড়া থানার ওসি মোঃ মাজহারুল হক বলেছেন, শ্লীতাহানীর ঘটনার সংবাদ পেয়ে যুবতীকে উদ্ধার করি। যুবতী বা তার বাবা শ্ল¬ীতাহানীকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। যে কারনে যুবতীর নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে আমরা নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠিয়েছি। 
Ruby