বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১২

পুঠিয়াসহ উত্তরাঞ্চলের বাজারগুলোতে ভেজাল খাদ্যের রমরমা ব্যবসা !

মেহেদী হাসান, পুঠিয়া প্রতিনিধি :: পুঠিয়াসহ উত্তরাঞ্চলের বাজারগুলোতে ভেজাল খাদ্য পণ্যের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক কেমিক্যাল মিশ্রত এসব ভেজাল খাদ্য খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছেন শিশুসহ অসংখ্য মানুষ। দেশের প্রচলিত আইনে কোন খাদ্যপণ্য তৈরি ও বাজারজাত করতে বিএসটিআই’র পূর্ব অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানছে না অধিকাংশ খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্টান। জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এবং এক শ্রেণীর অসৎ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলছে এসব ভেজাল খাদ্য পণ্যের রমরমা ব্যবসা। পুঠিয়া উপজেলার অলি-গলিতে প্রকাশ্যে ও গোপনে পালা দিয়ে গড়ে উঠছে ভেজাল খাদ্য পণ্য তৈরির কারখানা। ক্ষতিকর ভেজাল কেমিক্যাল মিশ্রিত বহুবিধ খাদ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে রঙিন পানিয় (তথাকথিত এনার্জি ডিংকস) কোমল,পানির নামে বাহারি রঙের সরবত, লজেন্স, চাটনি, আইসক্রিমসহ নানা রকমের পণ্যসামগ্রী। এগুলো শিশুদের কিডনি সমস্যাসহ পেটের পীড়া ও নানাবিধ জটিল রোগের কারণ হতে পারে। এ ধরনের মুকরোচক কেমিক্যাল মিশ্রিত খাদ্য খাওয়ার ফলে ঘরের তৈরি খাদ্যের প্রতি শিশুদের অরুচি-অনিহার সৃষ্টি হয়।

এ ছাড়াও পুঠিয়াসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠেছে অসংখ্য বেকারি যেখানে তৈরি হচ্ছে অতি নিম্নমানের খাদ্যপণ্য। বেকারি মালিকেরা বিএসটিআই’র অনুমোতির তোয়াক্কা না করেই অধিক মুনাফার আশায় খেয়ালখুশি মতো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএসটিআই’র অনুমোদনবিহীন এসব বেকারির কোন খাদ্যপণ্যেরও দাম প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে না উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীণের্র তারিখ। অভিযোগ আছে বেকারির তৈরি বনরুটি, কেক ও অন্যান বাহারি ডিজাইনের খাবারে মেশানো হয় পচা ডিম, কৃতিম রংসহ ক্ষতিকর কেমিক্যাল। মাত্রাতিরিক্ত কেমিক্যাল মিশিয়ে আকারে বড় করা হয় বনরুটি ও কেক।

এদিকে পুঠিয়াসহ উত্তরাঞ্চলের আড়ৎতদার ও ব্যবসায়ীরা কমলা, আপেল, আঙ্গুরে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মিশিয়ে কোল্ডষ্টোরে রেখে বেশি দামে বিক্রয় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাছে ব্যবহার করছে বিষাক্ত ফরমালিন। সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন পামওয়েল তেলে ফিটকারি মিশিয়ে পরিস্কার করে সয়াবিন তেল বলে বিক্রয় করছে। চিনির তুলোনায় গুড়ের দাম বেশি হওয়ায় গুড়ের সাথে চিনি মিশানো হচ্ছে।

মাঝে মধ্যে জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে ভেজাল বিরোধি অভিযান চালানো হলেও গ্রাম-গঞ্জের হাটঁবাজারে অভিযান চলে না। এসব খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারীরা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে।
Ruby