বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১২

সিংড়ায় খাল খননে কৃষকদের মুখে হাসি; ১২ হাজার হেক্টর জমির আবাদ বৃদ্ধির সুবাতাস

আকতার হোসেন অপূর্ব, নাটোর প্রতিনিধি :: নাটোরের সিংড়া উপজেলায় প্রায় সাড়ে ২০ কি.মি খাল পূণ:খননের উদ্যোগে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এর ফলে এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনের মাধ্যমে কৃষকদের প্রায় ১২০০০ হেক্টর জমির ফসল বৃদ্ধির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।

তথ্যমতে, ৮০’র দশক থেকে উপজেলার রাজবাড়ি, নিয়ামত, শিরুখালী, নারিবাড়ি ও জোরমল্লিকা খালের তলার উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। ফলে বর্ষাকালের পানি এই ৫টি খাল সংলগ্ন এলাকার নীচু জমিতে প্রায় সারা বছরই জমে থাকত। এতে কৃষকরা আগে যেখানে বছরে নীচু জমিতে দুইটি এবং উচু জমিতে তিনটি ফসল পেত সেখানে জলাবদ্ধতার কারণে একটি করে ফসল কম পেতে শুরু করে। এতে কৃষকদের সারা বছরের খাবার সংগ্রহ হয়ে পরে দূর্লভ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায় থেকে বার বার বিভিন্নভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সর্বপরি গত জানুয়ারী মাসে পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ এলাকার জন্য ক্ষুদ্র প্রকল্প(পানাসি)’র আওতায় উপজেলার এই ৫টি খাল প্রায় এক কোটি টাকা ব্যায়ে সম্পূর্ণ সরকারী অর্থায়নে পূণ:খননের আওতায় আসে।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে পানাসি প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও সহকারী-প্রকৌশলী বজলুর রশিদ জানান, আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই এই খাল খননের কাজ শেষ হবে। খাল খনন শেষ হলে এই অঞ্চলের ১২০০০ হেক্টর জমির ফসল বৃদ্ধি ছাড়াও গুরদাসপুর উপজেলার রাবার ড্যামের পানি এই খালের মাধ্যমে ব্যবহার করে খরা মৌসুমে প্রায় দুই মাস কৃষকরা তাদের জমিতে সেচ দিতে পারবেন। এতে সার্বিক ভাবে এলাকার কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়ন ঘটবে।

খালটি খনন হওয়ায় উপজেলার হুলহুলিয়া, ভুল বাড়িয়া, জয়নগর, রাখালগাছা, চৌগ্রাম ও ডাহিয়া বিলের কৃষকরা সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, এর মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পরে তাদের কষ্ট লাঘব হতে চলেছে।
Ruby